অব্যাহত ভারী বর্ষণে নাটোর শহরের অধিকাংশ এলাকায় দেখা দিয়েছে জলাবদ্ধতা।
পানিতে তলিয়ে গেছে শহরের ব্যস্ততম কানাইখালী, নিচাবাজার, চৌকিরপাড়, কালুর মোড়, আলাইপুরসহ বিভিন্ন এলাকা। বিপণিবিতান,বাজার, আবাসিক এলাকাসহ সব স্থানে থৈ থৈ করছে পানি।
বাড়ি-ঘর ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে পানি ঢুকে পড়ায় চরম দুর্ভোগে পড়েছে সব শ্রেণি পেশার মানুষ। এক পর্যায়ে ক্ষুদ্ধ এলাকাবাসী শহরের কালুর মোড় এলাকায় সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ শুরু করে। সন্ধ্যায় পুলিশ ও স্থানীয় ওয়ার্ড কাউন্সিলর মলয় কুমার পানি নিষ্কাশনের আশ্বাস দিলে পরিস্থিতি কিছুটা শান্ত হয়।
পরে এলাকাবাসী নিজেরাই ভরাট হয়ে যাওয়া খাল সংস্কার করে পানি নিষ্কাশনের চেষ্টা করেন। পৌর এলাকার ড্রেনেজ অব্যবস্থাপনা ও খালগুলো দখল করে স্থাপনা তৈরি করায় এ পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে বলে অভিযোগ তাদের।
পৌর মেয়র উমা চৌধুরী জলি বলেন, পরিস্থিতি মোকাবিলায় কাজ শুরু করেছে পৌর কর্তৃপক্ষ। আজকের (বৃহস্পতিবার) মতো ভারী বৃষ্টিপাত না হলে আগামীকাল স্কেভেটর দিয়ে দখল ও ভরাট হয়ে যাওয়া খাল ও ড্রেনগুলো সংস্কার করে পানি অপসারণের ব্যবস্থা করা হবে।
একইসাথে সরকারি খালের জায়গা নির্ধারণ করে তা উদ্ধারে জেলা প্রশাসনের সহায়তা চাওয়া হয়েছে বলেও জানান পৌর মেয়র।
এদিকে টানা বর্ষণ ও উজানের ঢলে নদ-নদীর পানি বেড়ে নাটোরের সিংড়া উপজেলার চলনবিলের অন্তত দেড় হাজার হেক্টর জমির আমন ধান তলিয়ে গেছে।
উপজেলা কৃষি বিভাগের তথ্য মতে, সিংড়ার ১২টি উইনিয়নের মধ্যে চলনবিলের অভ্যন্তরে থাকা ৮টি ইউনিয়নের ১ হাজার ৩২০ হেক্টর জমির রোপা আমন ধান ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। এর মধ্যে ৩৩০ হেক্টর জমির ধান সম্পূর্ণ তলিয়ে গেছে।
সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে ছাতারদিঘী ইউনিয়ন। এখানকার প্রায় ৪০০ হেক্টর জমির আমন ধান ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। ফলে সরাসরি ক্ষতির মুখে পড়েছে ১ হাজার ৭০০ কৃষক। টানা বৃষ্টি ও উজান থেকে নেমে আসা পানির কারণে চলনবিল অঞ্চলের নদ নদীর পানি বেড়ে ফসলী জমিতে ঢুকে পড়ায় এ অবস্থা তৈরি হয়েছে।
নতুন করে বৃষ্টি না হলে ও পানি বের হয়ে গেলে ক্ষতির পরিমাণ কমে আসবে বলে জানিয়েছেন সিংড়া উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা খন্দকার ফরিদ।
সূত্র : ইউএনবি
Leave a Reply