এশিয়ান গেমসের ফাইনালে উঠা হলো না বাংলাদেশের। শেষ হয়ে গেছে স্বর্ণ জয়ের স্বপ্ন। ভারত বাধায় সেমিফাইনালেই আটকে গেছে টাইগারেয়া, হেরেছে ৯ উইকেটের বড় ব্যবধানে। যদিও পদক জয়ের সম্ভাবনা এখনো টিকে আছে সাইফ হাসানের দলের।
ব্যাটিং ব্যর্থতাই ঢুবালো বাংলাদেশকে। জাতীয় দলের আদলে গড়া দলটা কোয়ার্টার ফাইনালে কোনো রকমে মালেশিয়ার সাথে শতরানের গণ্ডি পেরিয়ে গেলেও, সেমিফাইনালে আটকা পড়েছে ভারতের কাছে মাত্র ৯৬ রানে। যা টপকাতে সময় নেয়নি ভারত। ৯.২ ওভারেই জয় নিশ্চিত করেছে তারা।
এশিয়ান গেমসে শুক্রবার চীনের হাংজুর জিজিয়াং প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের মাঠে ভারতের মুখোমুখি হয় বাংলাদেশ। বাংলাদেশ সময় সকাল ৭টায় শুরু হয় খেলা। যেখানে আগে ব্যাট করে ৯ উইকেটে মাত্র ৯৬ রানে থামে বাংলাদেশের ইনিংস। জবাবে ৬৪ বল হাতে রেখেও লক্ষ্যে পৌঁছে যায় ভারত।
ব্যাটিংয়ে নেমে বাংলাদেশ দল শুরু থেকেই চরম বিপর্যয়ের মধ্যে পড়ে। গোটা ইনিংসে কেবল তিনজন ছুঁতে পেরেছেন দুই অঙ্ক, সেটাও সর্বোচ্চ ২৪ জাকের আলির। ৩২ বলে ২৩ রান করেন পারভেজ ইমন। ১৪ রান করেন রকিবুল হাসান।
৪.২ ওভারে উদ্বোধনী জুটি ভাঙার পর ৩ রান তুলতেই আরো ২ উইকেট হারায় বাংলাদেশ। এরপর অষ্টম উইকেটেই আসে কেবল সর্বোচ্চ ১৬ রানের জুটি। নবম উইকেট জুটিতে আসে আরো ১৫ রান। এই জুটিগুলোই বলে দেয় ইনিংসের হালচাল।
মাহমুদুল হাসান জয় ৫, সাইফ হাসান ১, জাকির হাসান ০, আফিফ হোসেন ৭, শাহাদাত দিপু ৫, মৃত্যুঞ্জয়ের ব্যাটে আসে ৪ রান। বাংলাদেশকে গুটিয়ে দেয়ার পথে সর্বোচ্চ ৩ উইকেট নেন সাই কিশোর, ২ উইকেট নেন ওয়াসিংটন সুন্দর।
সহজ লক্ষ্য তাড়া করতে নামা ভারতীয় ব্যাটারদের ওপর চাপ সৃষ্টি করতে পারেনি বাংলাদেশ। প্রথম ওভারেই ০ রানে যশস্বী জয়সাওয়াল ফিলেও তা জয়ের পথে বাধা হয়নি তাদের। ৯৭ রানের জুটি গড়েই ফাইনাল নিশ্চিত করেন তিলক ভার্মা ও রিতুরাজ গায়কোড়।
রিপন মন্ডল, মৃত্যুঞ্জয়দের পিটিয়ে অর্ধশতক তুলে নেন তিলক ভার্মা। শেষ পর্যন্ত অপরাজিত থাকেন ২৬ বলে ৫৫ রানে। সমানে ২৬ বলে ৪০ রানে অপরাজিত থাকেন রিতুরাজ।
শনিবার ফাইনালে ভারত খেলবে আজ দ্বিতীয় সেমিফাইনালে পাকিস্তান ও আফগানিস্তানের মাঝে জয়ী দলের বিপক্ষে। বাংলাদেশ খেলবে আরো একটি ম্যাচ, সেটি বোঞ্জ জয়ের আশায়। আগামীকাল তাদের প্রতিপক্ষ পাকিস্তান-আফগানিস্তান ম্যাচের পরাজিত দল।
এর আগে এই ভারতের কাছে হেরেই স্বর্ণ জয়ের স্বপ্ন ভেঙেছিল বাংলাদেশ নারী দলের। তবে শেষ পর্যন্ত বোঞ্জ জিতে দেশে ফেরে নিগার সুলতানা জ্যোতিরা।
Leave a Reply