কলা আয়রন সমৃদ্ধ ফল। কলা এমন একটি ফল, যেটি সারা বছরই পাওয়া যায়। পুষ্টিগুণ সমৃদ্ধ এ ফল নিয়মিত খেলে সাধারণ রোগ থেকে সুরক্ষিত থাকতে সহায়তা করে।এছাড়া কলায় প্রিবায়োটিকস থাকে। এ কারণে আমাদের অন্ত্রের গতিবিধি উন্নত করে এই হলুদ বর্ণের ফল। কলা যেহেতু ফাইবার সমৃদ্ধ ফল তাই আপনার ডায়েট লিস্টে নিয়মিত রাখতে পারেন।
কলা শর্করার ভালো উৎস। তাই ডায়াবেটিসে আক্রান্ত রোগীদের কলা খাওয়াতে সতর্ক থাকা প্রয়োজন। বেশিরভাগ সময় স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়ার অভ্যাস আর নিয়মিত শরীরচর্চা করলে প্রতিদিন দুটি কলা খাওয়া যেতে পারে।
কলাতে থাকা কার্বোহাইড্রেইট শক্তি যোগায় এবং তা ধীরে শোষিত হয়। অন্যদিকে মিষ্টি ও চিনি-জাতীয় খাবার থেকে প্রাথমিক শক্তি পাওয়া যায়। কিন্তু তা দ্রুতই শেষ হয়ে যায়।
পুষ্টিবিজ্ঞানের তথ্যানুসারে ‘টিপস অ্যান্ড ট্রিক্স ডটকম’য়ে প্রকাশিত প্রতিবেদন থেকে প্রতিদিন কলা খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে জানা যায়।
লৌহের ঘাটতি দেখা দিলে অ্যানিমিয়া বা রক্তশূন্যতার সমস্যা দেখা দেয়। রক্তের লোহিত কণিকা বাড়াতে কলা সহায়তা করে। কলা উচ্চ আঁশ সমৃদ্ধ। নিয়মিত কলা খাওয়া পেট পরিষ্কার করতে সহায়তা করে।
কখনও কী মাঝরাতে পেশির টানে ঘুম ভেঙেছে? এ সমস্যা সমাধান করতে পারে কলা। কলা উচ্চ পটাশিয়াম সমৃদ্ধ যা পেশির টানের সমস্যা দূর করে। কলা পাকস্থলির অ্যাসিড পরিশোধিত করতে পারে। তাই বুক-জ্বালা পোড়ার সমস্যায় একের অধিক কলা খেলে উপকার পাওয়া যায়।
Leave a Reply