সিকিমে আকস্মিক বন্যায় এখন পর্যন্ত ১৪ জনের মৃত্যু হয়েছে, নিখোঁজ রয়েছে ২২ সেনাসদস্যসহ ১০২ জন মানুষ। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির এক প্রতিবেদন থেকে এই তথ্য জানা গেছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, তিস্তা নদীর পানির উচ্চতা বেড়ে যাওয়ায় আকস্মিক বন্যার সৃষ্টি হয়। লাচেন উপত্যকায় চুংথাং বাঁধ থেকে পানি ছেড়ে দেওয়ায় ১৫-২০ ফিট উচ্চতার পানির ঢল নামে, এতে করে বারডাংয়ে থাকা সেনা যান ভেসে যায়।
সরকারি একজন কর্মকর্তা জানান, বন্যায় ১৪টি সেতু ধসে গেছে। প্রদেশের বিভিন্ন স্থানে আটকা পরে আছেন তিন হাজারের বেশি পর্যটক।
সিকিম সরকার ডিজ্যাস্টার ম্যানেজমেন্ট অ্যাক্ট অনুযায়ী জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেছে।
সরকারের সিনিয়র একজন কর্মকর্তা ১০ জন বেসামরিকের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেছেন। ৮২ জন নিখোঁজ রয়েছেন। তিস্তার তিনটি বাঁধে কাজ করছিলেন ১৪ কর্মী। পানিতে তারাও ভেসে গেছেন। মাঙ্গান জেলার চুংথাং, গ্যাংটক জেলার ডিকচু ও সিংটাম এবং পাকিয়ং জেলার রংপো থেকে আহত ও নিখোঁজদের খবর পাওয়া গেছে।২৫ জনেরও বেশি লোককে বিভিন্ন হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
সেনাবাহিনী বলেছে যে নিখোঁজ ব্যক্তিদের পরিবারের সদস্যদের সাথে যোগাযোগ করা হয়েছে এবং পরিস্থিতি সম্পর্কে অবহিত করা হরাজ্য সরকার ন্যাশনাল ডিজাস্টার রেসপন্স ফোর্সের তিনটি অতিরিক্ত প্লাটুনের জন্য অনুরোধ করেছে, যা কেন্দ্রীয় সরকার অনুমোদন করেছে। এনডিআরএফ-এর এক প্লাটুন ইতিমধ্যেই রংপো এবং সিংটাম শহরে ত্রাণ ও উদ্ধার তৎপরতা চালাচ্ছে।
সিকিমের মুখ্যমন্ত্রী প্রেম সিং তামাং বলেছেন যে তিনি পরিস্থিতির পর্যালোচনা করতে সিংটাম পরিদর্শন করেছেন এবং রাজ্যের সবাইকে সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি বলেন, আমাদের রাজ্যে যে সাম্প্রতিক প্রাকৃতিক বিপর্যয় ঘটেছে সে সম্পর্কে আমরা সকলেই অবগত। ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় জরুরি সেবার ব্যবস্থা করা হয়েছে।
Leave a Reply