কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো গত সোমবার পার্লামেন্টে দাবি করেন, ভারতীয় বংশোদ্ভূত কানাডীয় নাগরিক শিখ নেতা হরদীপ সিং হত্যায় ভারত সরকার জড়িত থাকতে পারে বলে তাদের কাছে বিশ্বাসযোগ্য প্রমাণ আছে। এরপরেই দুই দেশের মধ্যে রাজনৈতিক টানাপোড়েন শুরু হয়েছে। এই দাবি পর ভারত ও কানাডার মধ্যে রাজনৈতিক উত্তেজনা এখন চরমে। ইতোমধ্যে দুই দেশই পরস্পরের কূটনীতিককে বহিষ্কার করেছে। এরপর গত বৃহস্পতিবার কানাডীয় নাগরিদের জন্য ভিসা স্থগিত করে ভারত।
এমন পরিস্থিতিতে মার্কিন প্রতিরক্ষা সদর দপ্তর পেন্টাগনের সাবেক কর্মকর্তা মাইকেল রুবিন গতকাল শনিবার বলেছেন, ভারতের বিরুদ্ধে ট্রুডো যেসব অভিযোগ করেছেন তাতে কানাডাকেই বেশি বিপদে পড়তে হতে পারে।
তিনি এসময় বলেন, কানাডা ও ভারতের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রকে যদি যেকোনো একটিকে বেছে নিতে হয়, তাহলে দেশটি নিশ্চিতভাবে দিল্লিকে বেছে নেবে। জনমত জরিপে ট্রুডোর জনপ্রিয়তা যে কমে গেছে তা উল্লেখ করে রুবিন বলেছেন, ট্রুডো দীর্ঘদিন ধরে কানাডার প্রধানমন্ত্রী থাকবেন না এবং যুক্তরাষ্ট্র ট্রূডো ক্ষমতা থেকে যাওয়ার পরে সম্পর্ক মেরামত করে নিতে পারবে।
কানাডা যুক্তরাষ্ট্রের ঘনিষ্ঠ মিত্র হলেও রুবিন জানান, যুক্তরাষ্ট্রের কাছে ভারতের কৌশলগত গুরুত্ব বেশি। ভারতের বিরুদ্ধে কানাডা যে লড়াইয়ে মেতেছে, তা হাতির বিরুদ্ধে পিঁপড়ার লড়াইয়ের শামিল।
পেন্টাগনের সাবেক কর্মকর্তা মাইকেল রুবিন আরও বলেন, জাস্টিন ট্রুডো বড় ভুল করছেন বলে আমি মনে করি। ভারতকে তিনি এমনভাবে দায়ী করলেন, যেখান থেকে আসলে ফিরে আসতে পারবেন না। একজন সন্ত্রাসীকে আশ্রয় দেওয়ার কারণে তাকে অবশ্যই জবাবদিহি করতে হবে।
Leave a Reply