শিখ ধর্মালম্বী খালিস্তানিপন্থীদের সংগঠন ‘শিখস ফর জাস্টিস’ এবার ভারতীয় বংশোদ্ভূত হিন্দুদের কানাডা ছাড়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছে। এর আগে কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো খালিস্তানি নেতা হরদীপ সিং নিজ্জরকে গুলি করে হত্যায় ভারত জড়িত থাকতে পারে বলে ইঙ্গিত দিয়েছিলেন।
এক ভিডিও বার্তায় নিহত হরদীপের ঘনিষ্ঠ বন্ধু গুরপতওয়ান্ত পান্নুন বলেছেন, ‘ইন্দো হিন্দু কানাডা ছাড়ো। তোমরা ভারতে চলে যাও। তোমরা শুধু ভারতকে সমর্থন করছ এমনটাই নয়, তোমরা খালিস্তানপন্থীদের বাক-স্বাধীনতাতেও আঘাত হানছো। এমনকি নিজ্জরের খুনের উদযাপনের মাধ্যমে তোমরা উৎসব করেছ।’
ওই ভিডিও ছড়িয়ে পড়তেই কানাডার ইন্দো কানাডিয়ান কমিউনিটি বিশেষত হিন্দুদের মধ্যে উদ্বেগ ছড়িয়েছে। কানাডিয়ানস হিন্দুস ফর হারমনির মুখপাত্র বিজয় জৈন জানিয়েছেন, ‘আমরা তো এখন বিদেশে হিন্দুফোবিয়া দেখছি।’
কানাডার প্রধানমন্ত্রীর ইঙ্গিত কতটা প্রভাব ফেলবে তার পরিপ্রেক্ষিতে তিনি বলেন, ‘আবার সেই ১৯৮৫ সালের মতো পরিস্থিতি মনে পড়ে যাচ্ছে। এয়ার ইন্ডিয়ার ফ্লাইটে ওইবার বোমা ফেলা হয়েছিল। মন্ট্রিল থেকে লন্ডনে যাচ্ছিল বিমানটি। ওই সময় ২৩ জুন খালিস্থানি উগ্রপন্থীরা তাতে বোমা বর্ষণ করেছিল। বেশিরভাগ বিমানের অংশই উত্তর সাগরে নিমজ্জিত হয়েছিল। ৩০৭ যাত্রী ও ২২ ক্রুর মৃত্যু হয়েছি।’
কমেন্টেটার রূপা সুহ্মমণিয়া যোগাযোগমাধ্যম এক্সে (সাবেক টুইটার) জানিয়েছেন, ‘যদি কোনো শ্বেতাঙ্গ সমস্ত রঙের মানুষদের কানাডা ছাড়ার কথা বলে, তাহলে কী পরিস্থিতি তৈরি হয় এটা ভাবুন। যদি কোনো খালিস্তানি কানাডাতে হিন্দুদের হুমকি দেয়, তখন সকলেই মুখ ঘুরিয়ে থাকছেন।’
ন্যাশানাল ডেইলি দ্য গ্লোব অ্যান্ড মেইলে অ্যান্ড্রিউ কয়নে জানিয়েছেন, ‘দেশের মধ্যে শান্তি রাখা খুব দরকার। প্রচুর শিখ কানাডিয়ান রয়েছে, যারা নিজ্জরের খুনের ঘটনায় বিচলিত। এভাবে জাতিগত বা বিচ্ছিন্নতাবাদী রক্তক্ষয়ী ঘটনায় কানাডায় অত্যন্ত বাস্তব ঘটনা।’
ভারতের মন্ত্রী অনিতা আনন্দ তিনি নিজেও হিন্দু। তিনি শান্ত হওয়ার জন্য আবেদন করেছেন।
সূত্র : হিন্দুস্তান টাইমস
Leave a Reply