পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বাংলাদেশে অবাধ, সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানে তার সরকারের দৃঢ় প্রত্যয় পুনর্ব্যক্ত করেছেন।
তিনি সোমবার জাতিসঙ্ঘের সাধারণ পরিষদের (ইউএনজিএ) ৭৮তম অধিবেশনের ফাঁকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দৈনন্দিন কর্মসূচি সম্পর্কে গণমাধ্যমকে ব্রিফ করার সময় এ কথা বলেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও অহিংস নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য নির্বিশেষে রাজনৈতিক সংশ্লিষ্ট সবাইকে সর্বোচ্চ আন্তরিকতা প্রদর্শন করতে হবে। ইনশা আল্লাহ, সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে আমরা একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন করতে পারব।’
এক প্রশ্নের জবাবে মোমেন বলেন, আগামী সাধারণ নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠুভাবে অনুষ্ঠানের মাধ্যমে দৃষ্টান্ত স্থাপনের জন্য তারা সব ধরনের প্রস্তুতি নিচ্ছেন।
তিনি বলেন, নিরপেক্ষভাবে নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য নির্বাচন কমিশনকে (ইসি) নিরঙ্কুশ কর্তৃত্ব দেয়া হয়েছে।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ইসি একটি আইনের আওতায় গঠিত এবং প্রধানমন্ত্রী নির্বাচন কমিশনারদের নিয়োগ করেন না।
তিনি আরো বলেন, ‘এমনকি রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী নির্বাচন কমিশনারদের অপসারণ করতে পারেন না। কোনো সরকারি কর্মচারি অনিয়মের সাথে জড়িত থাকলে ইসি তাকে সাময়িক বরখাস্ত বা শাস্তি দিতে পারে।’
তিনি বলেন, ভোট কারচুপি হলে ইসি কোনো ভোটকেন্দ্রের ভোট বাতিলও করতে পারে।
এক প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের সাথে বাংলাদেশের উষ্ণ সম্পর্ক রয়েছে।
তিনি বলেন, ‘মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সাথে আমাদের খুব উষ্ণ সম্পর্ক রয়েছে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এই সম্পর্ককে আরো দৃঢ় ও উৎসাহিত করতে চান।’
তিনি আরো বলেন, এই সম্পর্ক আরো গভীর করতে মার্কিন প্রেসিডেন্ট একাধিক প্রতিনিধি দল (বাংলাদেশে) পাঠিয়েছেন এবং ‘তারা আমাদের বন্ধু হিসেবে কিছু পরামর্শ দিয়েছেন।’
একজন বন্ধু আরেকজনকে উপদেশ দিতে পারে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘আমরা তাদের অনেক উপদেশও গ্রহণ করেছি। আমরা বলেছিলাম যে পরামর্শটি যদি বস্তুনিষ্ঠ হয়, তবে আমরা অবশ্যই তা গ্রহণ করব।’
একটি উদাহরণ তুলে ধরে মোমেন বলেন, যুক্তরাষ্ট্র আমাদের ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেছে যে এটির কিছুটা অপব্যবহার হচ্ছে। ‘সুতরাং, আমরা এটি নিয়ে কাজ করেছি… আমরা একসাথে কাজ করছি।’
তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্র তাদের বিরুদ্ধে নতুন ভিসা নীতি ঘোষণা করেছে যা নির্বাচনকে ক্ষতিগ্রস্ত করবে।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘এটা আমাদের জন্য ভালো। কারণ আমরা চাই সবাই নির্বাচনে অংশগ্রহণ করুক, নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু হোক এবং কেউ হিংসা বা বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি না করুক। সুতরাং, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র আমাদের সাথে কাজ করছে। আমরা এই বিষয়গুলো নিয়ে খুব ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করছি।’
সূত্র : বাসস ও ইউএনবি
Leave a Reply