নতুন মহামারীর আশঙ্কায় ভারতের কেরালা। রাজ্যে নিপাহ ভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যাটা মাত্র পাঁচ হলেও তাদের সংস্পর্শে এসেছেন ৭০৬ জন। তারাই এখন ভাবাচ্ছে কেরালা সরকারকে। মঙ্গলবারই দুজনের মৃত্যু হয়েছে। ওইসব মৃত্যুকে অস্বাভাবিক মৃত্যু বলা হলেও সন্দেহ বাড়ছে।
কোঝিকোড়ে এক স্বাস্থ্যকর্মী নিপায় আক্রান্ত বলে স্বীকার করে নিয়েছেন রাজ্যের স্বাস্থ্যমন্ত্রী বীণা জর্জ। রাজ্যে ইতোমধ্যেই বেশকিছু স্কুল বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। ছয়টি গ্রামকে কনটেইনমেন্ট জোন হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে। পরিস্থিতি এমনই যে এখনই লকডাউনের আতঙ্কে ভুগছেন বহু মানুষ।
কেরালার এ নিপাহ সংক্রমণে উদ্বিগ্ন কেন্দ্রীয় সরকারও। কেন্দ্র ইতোমধ্যেই বিশেষজ্ঞ দল পাঠিয়েছে সেখানে। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী মনসুক মান্ডব্য মঙ্গলবার কেরালার এই দুটি মৃত্যুকে ‘আনন্যাচারাল ডেথস’ (অস্বাভাবিক মৃত্যু) বলে উল্লেখ করেছেন।
উল্লেখ্য, দক্ষিণ ভারতে ‘নিপাহ ভাইরাস’ প্রথম চিহ্নিত হয়েছিল কেরালার কোঝিকোড়েই, ২০১৮ সালের ১৯ মে।
ইতোমধ্যেই পুণের ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ ভাইরোলজিতে পরীক্ষার জন্য স্যাম্পল পাঠানো হয়েছে। কোঝিকোড় জেলা জুড়ে জারি হয়েছে স্বাস্থ্যসংক্রান্ত সতর্কতাও।
কেরালার স্বাস্থ্যমন্ত্রী বীণা জর্জ জানিয়েছেন, কোঝিকোড় জেলা প্রশাসন জেলায় একটি কন্ট্রোল রুম খুলেছে। পাশাপাশি স্থানীয় লোকজনকে সতর্কতামূলক পন্থা হিসেবে মাস্ক পরতে পরামর্শ দেয়া হয়েছে। স্বাস্থ্যকর্মীসহ যারা হাসপাতালগুলোতে নিপাহ নিয়ন্ত্রণে কাজ করবেন তাদের পিপিই কিট পরতে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। তিনি সাধারণ মানুষকে কারণে অকারণে যখন তখন হাসপাতালে বা তার সন্নিহিত এলাকায় না যেতে অনুরোধ করেছেন।
কেরালার মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়ন বলেছেন, তারা এই দুটি মৃত্যুকে যথেষ্ট গুরুত্ব দিচ্ছেন। তিনিও রাজ্যবাসীকে সতর্ক হতে পরামর্শ দিয়েছেন। তিনি এ-ও জানিয়েছেন, যারা নিপায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন তাদের সংস্পর্শে যারা এসেছেন ইতোমধ্যেই তাদের চিহ্নিত করে চিকিৎসা করা হচ্ছে।
সূত্র : জি নিউজ
Leave a Reply