শুরু থেকেই আধিপত্য ধরে রেখেও গোলমুখ খুলতে পারছিল না বিশ্বচ্যাম্পিয়নরা। ব্যর্থ হয়ে ফিরছিল তাদের একের পর এক চেষ্টা। কখনো প্রতিপক্ষ, কখনো ভাগ্য, কখনো বাঁধা হয়ে দাঁড়ায় বারপোস্ট। এমতাবস্থায় আরো একবার হতাশ দলকে আনন্দের উপলক্ষ এনে দেন মেসি। জাদুকরি ফ্রি কিকে উপহার কাঙ্খিত গোল।
মেসির একমাত্র গোলে জয় দিয়েই বিশ্বকাপ মিশন শুরু করল আর্জেন্টিনা। বিশ্বকাপ বাছাই পর্বে নিজেদের প্রথম ম্যাচে ইকুয়েডরকে ১-০ গোলে হারিয়েছে আলবিসেলেস্তেরা। স্তাদিও মাস মনুমেন্তালে বাংলাদেশ সময় শুক্রবার সকালে মুখোমুখি হয়েছিল দু’দল।
গোটা ম্যাচে বল দখলে রেখে ইকুয়েডরের ওপর আধিপত্য দেখিয়েছে আর্জেন্টিনা। ম্যাচের ৭১ শতাংশ সময়ে বল দখলে রাখে তারা। গোলমুখে নেয় ১৩টি শট, লক্ষ্যেও ছিল চারটি। বিপরীতে ইকুয়েডর পাঁচটি শট নিয়ে লক্ষ্য রাখে তিনটি।
যাইহোক, আর্জেন্টিনা প্রথম গোলের সুযোগ পেয়েছে ম্যাচের ১৬ মিনিটে। বক্সের এক কোণায় বল পেয়েছিলেন মেসি। কিন্তু ব্যর্থ হন তিনি, পোস্টের বাইরে দিয়ে পাঠিয়ে দেন বল। প্রথমার্ধের শেষ দিকে আরো একটা সহজ সুযোগ মিস করেন লাওতারো মার্টিনেজ। ইকুয়েডরের পোস্টে লাগে তার শট।
লাওতারো অবশ্য সুযোগ পেয়েছিলেন ২৮তম মিনিটেও। নিকোলাস গঞ্জালেজের কাটব্যাক থেকে গোলমুখে নেয়া তার শট ব্লক করে দেন ইকুয়েডরের এক ডিফেন্ডার। ৫৫ মিনিটে বড় সুযোগ হারায় আলবিসেলেস্তারা। ইকুয়েডরের গোল পোস্টের সামনে জটলা সৃষ্টি করেও গোল আদায় করতে পারেনি।
অবশেষে ৭৯তম মিনিটে এগিয়ে যায় আর্জেন্টিনা। জাদুকরি এক ফ্রি কিকে বল জালে পাঠান মেসি। প্রায় ২০ গজ দূর থেকে নেতা মেসির বাঁকানো ফ্রি কিকটি ইকুয়েডর গোলকিপার এরনান গ্যালিন্দেজ যা শুধু বিবস হয়ে দেখলেন, কিছুই করার ছিল না তার! যা জাতীয় দলের জার্সিতে মেসির ১০৪তম গোল।
এরপরও গোল করার মতো বেশ কিছু সুযোগ ছিল আর্জেন্টিনার। মাঝে গোটা ম্যাচে দুর্দান্ত খেলা রদ্রিগো দি পলেরও একটি শট রুখে দেন ইকুয়েডর গোলরক্ষক গ্যালিন্দেজ। ফলে গোলসংখ্যা বাড়ানোর একাধিক সুযোগ পেয়েও তা আর হয়নি, ১-০ গোলের জয় নিয়েই মেসিদের সন্তুষ্ট থাকতে হয়।
Leave a Reply