অনেকেই গরম ভাতের সঙ্গে এক চামচ ঘি খেতে পছন্দ করেন। ঘি শুধু স্বাদে এবং গন্ধে অতুলনীয় নয়, এর স্বাস্থ্যগুণও অনেক। রান্নার স্বাদ বৃদ্ধিতে ঘি’য়ের জুড়ি নেই। এতে থাকা অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট, ভিটামিন, খনিজ রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। এর পাশাপাশি শরীরের প্রতিটি পেশি শক্তিশালী করে, মেদ ঝরায়, হাড় মজবুত করে, শরীরের প্রতিটি কোষ সচল রাখে।
অনেকের ধারণা, ঘি খেলেই ওজন বাড়ে। পুষ্টিবিদরা বলছেন, ইচ্ছেমতো খেলে ওজন বাড়ার ঝুঁকি থাকে। কিন্তু নিয়ম করে খেলে শুধু ওজনই নিয়ন্ত্রণে থাকবে তা নয়। পাশাপাশি আরও অনেক স্বাস্থ্য উপকারিতা পাওয়া যাবে। যেমন-
১. আয়ুর্বেদ শাস্ত্র অনুযায়ী জ্বরের সময়ে এক কোয়া রসুনের সঙ্গে ঘি মিশিয়ে খেলে উপকার পাওয়া যাবে।
২. শরীরে রক্তাল্পতার সমস্যা হলেও ঘি খেলে উপকার পাওয়া যায়। এ ক্ষেত্রে ত্রিফলার গুঁড়োর সঙ্গে ঘি মিশিয়ে নিয়মিত খেতে হবে।
৩. যারা ল্যাকটোজজাতীয় খাবার অর্থাৎ দুধ, ছানা, দই খেতে পারেন না, তারা রোজ অন্তত ১ চামচ করে ঘি খেতে পারেন। এতে ক্যালশিয়ামের ঘাটতি দূর হবে।
৪. হজম ক্ষমতা শক্তিশালী করতে ঘি উপকারী। ঘিয়ে থাকা বাইটিরিক অ্যাসিড হজমক্ষমতা বাড়িয়ে তোলে। এ ক্ষেত্রে রাতে গরম দুধে এক চামচ ঘি মিশিয়ে নিয়মিত খেতে পারেন।
৫. ঘি ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিডে ভরপুর, যা পেটের চর্বি কমাতে সাহায্য করে। তাই বলা যায় ঘি ওজন বাড়াতে নয়,বরং ওজন ঝরাতে কার্যকর। রান্নায় তেলের বদলে ঘি ব্যবহার করতে পারেন। তবে কতটা ঘি খেলে শরীরের ক্ষতি হবে না, তা পুষ্টিবিদের থেকে যাচাই করে নেওয়াই ভালো।
Leave a Reply