হাওয়াইয়ের মাউই দ্বীপে ভয়াবহভাবে ছড়িয়ে পড়েছে দাবানল। এতে মৃত্যুর সংখ্যা বেড়ে ৫৩ জনে দাঁড়িয়েছে। দেশটির কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে আজ শুক্রবার এ তথ্য জানিয়েছে বিবিসি।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দাবানলের সঙ্গে দূরবর্তী এক ঘূর্ণিঝড়ের বাতাসে দাবানল ভয়াবহ রুপ ধারণ করেছে। এর প্রকোপ থেকে বাঁচতে পালিয়ে গেছে হাজার হাজার মানুষ। আগুনে পুড়ে ছাই হয়েছে পর্যটকপ্রিয় শহর লাহাইনা।
দাবানলে নিহতদের পরিবারের প্রতি গভীর শোক প্রকাশ করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। হাওয়াই দ্বীপপুঞ্জের দাবানলকে ভয়াবহ বিপর্যয় কবলিত অঞ্চল ঘোষণা করে উদ্ধার কাজ বাড়ানোর নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। একইসঙ্গে স্থানীয়দের সতর্কতা অবলম্বনের পরামর্শ দেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট।
মার্কিন বেসামরিক টহল বিমান ও মাউই ফায়ার সার্ভিস জানিয়েছে, অন্তত ২৭১টি অবকাঠামো আগুনে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। লাহাইনা থেকে পালিয়ে যাওয়া এক বাসিন্দা বলেন, ‘আমরা ভয়াবহ দুর্যোগ দেখলাম, পুরো শহর পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। যেন কেয়ামত দেখছি।’
হেলিকপ্টার পাইলট রিচার্ড ওলস্টেন বলেন, ‘দেখে মনে হচ্ছে এই এলাকায় বোমা ফেলা হয়েছে। যেন কোনো যুদ্ধক্ষেত্র।’
মাউইতে প্রায় ১২হাজার মানুষের বসবাস। শহরের মেয়র বলছেন, আগুনে অনেক ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ক্ষয়ক্ষতির প্রকৃত পরিমাণ নির্ধারণ করা এখনো কঠিন এবং মৃতের সংখ্যা বাড়তে পারে। আগুনের কারণে বাস্তুচ্যুত হয়েছে প্রায় ২১০০ মানুষ।
হাওয়াই যোগাযোগ দপ্তরের মুখপাত্র এড স্নিফেন বলেন, অন্তত ৪ হাজার পর্যটক মাউই থেকে পালানোর চেষ্টা করছেন। তাদের সবাইকে বিমানবন্দরে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে।
কর্মকর্তারা বলেছেন, মাউইতে তিনটি বড় অগ্নিকাণ্ড এখনো সক্রিয় এবং নিয়ন্ত্রণের বাইরে রয়েছে। রাজ্যের একজন মার্কিন সিনেটর ব্রায়ান শ্যাটজ বলেন, দমকলকর্মীরা এখনো আগুন নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করছে।
গতকাল বুধবার ভোরে খবর পাওয়া গেছে যে, আগুন থেকে বাঁচতে বেশ কয়েকজন মানুষ সাগরে ঝাঁপ দিয়েছে। মার্কিন কোস্টগার্ড জানিয়েছে, তারা অন্তত ১২ জন মানুষকে পানি থেকে উদ্ধার করেছে।
যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল ওয়েদার সার্ভিস জানিয়েছে, অগ্নিকাণ্ড ঘূর্ণিঝড় ডোরা দ্বারা প্রজ্বলিত হয়েছিল, যা হাওয়াইকে দূরত্বে অতিক্রম করেছিল কিন্তু এর সাথে ঘণ্টায় ৬০ মাইল বেগে ঝোড়ো হাওয়া বয়ে গিয়েছিল।
Leave a Reply