ভারতের হরিয়ানা রাজ্যের গুরুগ্রামের নুহতে হিন্দু ও মুসলিমদের মধ্যে চলমান উত্তেজনা এখনো বিরাজ করছে। গত সোমবার রাজ্যে দুই সম্প্রদায়ের মানুষের মধ্যে সংঘর্ষ বেধে যায়। গুরুগ্রামের কয়েকটি মুসলিম পরিবার জানিয়েছে, উগ্রবাদী হিন্দুরা তাদের বাড়ি ছাড়ার হুমকি দিয়েছে।
গুরুগ্রামে পশ্চিমবঙ্গের ১০০টিরও বেশি অভিবাসী পরিবার বসবাস করত। তাদের মধ্যে ৮৫টি পরিবার ইতোমধ্যে ভয়ে তাদের বাড়ি ছেড়ে চলে গেছেন। বাকি যারা রয়ে গেছেন তাদের এখন চলে যেতে হুমকি দেয়া হচ্ছে।
তবে এখনো যারা আছেন তারা জানিয়েছেন, অন্য জায়গায় বা নিজ রাজ্য পশ্চিমবঙ্গে যে চলে যাবেন, সে আর্থিক সক্ষমতাও এখন তাদের নেই। আর এ কারণে জীবনের ঝুঁকি নিয়েও গুরুগ্রামে থেকে গেছেন তারা। তাদের একজন ২৫ বছর বয়সী শামীম হোসেন। অশ্রুসিক্ত চোখে এনডিটিভিকে তিনি বলেছেন, ‘বুধবার সন্ধ্যায় কিছু লোক আসে এবং সব মুসলিমকে চলে যেতে বলে। ফিরে যাওয়ার মতো অর্থ আমাদের নেই। এমনকি স্থানীয় দোকানে আমাদের বাকি পর্যন্ত রয়েছে।’
‘আমার কিছু হলে ঠিক আছে, কিন্তু আমার এক বছর বয়সী ছেলে আছে। সরকার, বিভাগীয় প্রশাসন এবং স্থানীয়দের কাছে আমার আকুল আবেদন আমাদের রক্ষা করুন। দয়া করে আমাদের সহায়তা করুন।’ এর আগে বুধবার সকালে গুরুগ্রামের বিভাগীয় কমিশনার আশ্বস্ত করেছিলেন অভিবাসী মুসলিম পরিবারের সদস্যদের সুরক্ষা নিশ্চিত করা হবে। তিনি জানিয়েছিলেন, স্পর্শকাতর অঞ্চলগুলোয় নিরাপত্তাবাহিনীর বাড়তি সদস্য মোতায়েন করা হবে।
গত মঙ্গলবার সন্ধ্যায় দাঙ্গাবাজদের ৬০ জনের একটি দল স্থানীয় এক ভূমিমালিককে হুমকি দিয়ে বলে, দুই দিনের মধ্যে যেন তার জায়গা থেকে মুসলিমদের উচ্ছেদ করা হয়। পশ্চিমবঙ্গের এসব মুসলিম পরিবার জীবিকার তাগিদে হরিয়ানায় এসেছে; কিন্তু এখন সাম্প্রদায়িক দাঙ্গার ভেতর পড়ে গেছেন তারা।
সূত্র : এনডিটিভি
Leave a Reply