আবার চিতার মৃত্যু কুনোয়। এই নিয়ে পাঁচ মাসের মধ্যে ৯টি চিতার মৃত্যু হলো ভারতের কুনো ন্যাশনাল পার্কে। বুধবার সকালে ‘ধাত্রী’ নামের মেয়ে-চিতাটির মৃ্ত্যু হয়। বহু ঢাক-ঢোল পিটিয়ে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির জন্মদিনে কুনোর জঙ্গলে ছাড়া হয়েছিল নামিবিয়া থেকে আনা একদল চিতা। উদ্দেশ্য ছিল, ভারতে চিতা ফিরিয়ে আনা। একসময়ে চিতা ছিল ভারতে। কিন্তু পরে বিলুপ্ত হয়ে যায়। কিন্তু ভারতীয় অরণ্যে চিতা ফেরানোর এই ভারত সরকারের এই চেষ্টা মুখ থুবড়ে পড়ায় ব্যাপক সমালোচনার জন্ম দিয়েছে বিভিন্ন মহলে। খোদ সুপ্রিম কোর্ট কুনোয় এই পর পর চিতার মৃত্যুতে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে।
ভারতীয় আবহাওয়ায় নামিবিয়া থেকে আনা চিতার বেঁচে থাকা কঠিনই। এই ভাবনা আগে থেকেই ছিল। তাই চিতাগুলোকে নজরদারির মধ্যেই রাখা হয়েছিল। কুনো ন্যাশনাল পার্কের পশুচিকিৎসকদল এবং নামিবিয়ার এক্সপার্ট টিম মিলিতভাবেই চিতাগুলোর হাল হকিকতের উপর নজর রেখেছিল। কিন্তু শেষ পর্যন্ত সাফল্য আসেনি। ভারতীয় অরণ্যের পরিবেশের সাথে মানিয়ে নিতে পারেনি কুনোর চিতা।
এদিকে পর পর এতগুলো চিতার মৃত্যুতে ব্যাপক উদ্বেগ প্রকাশ করেছে ভারতের শীর্ষ আদালত। বিচারপতি বি আর গাভাই, জে বি পারদিওয়ালা ও পি কে মিশ্রের একটি বেঞ্চে এ সংক্রান্ত একটি মামলার শুনানি হয়। একটি বিশেষজ্ঞ কমিটির করা মামলার শুনানিতে বিশেষজ্ঞ কমিটির তরফে বলা হয়, চিতাগুলোকে ঠিকভাবে রাখার জন্য এমন কিছু পরিকল্পনার প্রয়োজন ছিল যা হয়তো সরকার সেভাবে পালন করতে পারেনি।
ভারত সরকারের পক্ষ থেকে অবশ্য সমস্ত অভিযোগ উড়িয়ে দেয়া হয়েছে। বলা হয়েছে, তাদের তরফে দায়িত্ব পালনে কোনো শৈথিল্য ঘটেনি। যদিও বিষয়টি নিয়ে পানিঘোলা হতে শুরু করে দিয়েছে। এবং বিরোধীরা হয়তো যেকোনো দিন বিষয়টি ইস্যু করতে পারে বলে এক শ্রেণির অনুমান।
সংশ্লিষ্ট মহলের একাংশের অভিমত, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ভাবমূর্তি বাড়ানোর এই চিতার ট্রান্সলোকেশন খুবই জরুরি জায়গা অধিকার করে রয়েছে। আগামী বছর ভারতে জাতীয় নির্বাচন। তার আগে চিতার মৃ্ত্যুতে ওই ইমেজ টোল খাবেই।
সূত্র : জি নিউজ
Leave a Reply