চট্টগ্রাম-১০ আসনের উপনির্বাচনের ভোটগ্রহণ চলছে। রোববার সকাল সাড়ে ৯টায় এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত নির্বাচনে ভোটারদের উপস্থিতি কম ছিল এবং কোনো অপ্রীতিকর ঘটনার খবর পাওয়া যায়নি।
চট্টগ্রাম-১০ আসনের উপনির্বাচন সিসিটিভি ক্যামেরার মাধ্যমে পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে। আসনটি ডবলমুরিং, পাহাড়তলী ও হালিশহর থানা নিয়ে গঠিত।
নির্বাচন কমিশনের (ইসি) নির্বাচন ব্যবস্থাপনা শাখার যুগ্ম সচিব ফরহাদ আহাম্মদ খান জানান, ১৫৬টি কেন্দ্রে ১ হাজার ৫৬৩টি সিসিটিভি ক্যামেরা বসানো হয়েছে।
রোববার (৩০ জুলাই) সকাল ৮টায় শুরু হওয়া ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) ভোটগ্রহণ বিরতিহীন চলবে বিকেল ৪টা পর্যন্ত।
আসনটির মোট ৪ লাখ ৮৮ হাজার ৬৩৩ জন ভোটাধিকার প্রয়োগের সুযোগ পাবেন।
নির্বাচনটিতে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন যারা- বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের মো: মহিউদ্দিন বাচ্চু (নৌকা), জাতীয় পার্টির প্রার্থী মো: সামসুল আলম (লাঙল), তৃণমূল বিএনপির দীপক কুমার পালিত (সোনালি আঁশ), বাংলাদেশ সাংস্কৃতিক মুক্তিজোটের রশীদ মিয়া (ছড়ি), স্বতন্ত্র প্রার্থী মো: আরমান আলী (বেলুন) ও মনজুরুল ইসলাম ভুঁইয়া (রকেট)।
নির্বাচন কমিশন আরো জানায় যে- নির্বাচন পরিবেশ নিয়ন্ত্রণে রাখতে প্রতি সাধারণ কেন্দ্রে অস্ত্রসহ পুলিশের ৩ সদস্য ও আনসারের ২ সদস্য থাকবে। এছাড়া অস্ত্র ছাড়া লাঠি হাতে আনসারের ১০ সদস্য ও একজন গ্রাম পুলিশের সদস্যও মোতায়েন করা হয়েছে।
অন্যদিকে ঝুঁকিপূর্ণ কেন্দ্রে পুলিশের একজন ও গ্রাম পুলিশের দু’জন অতিরিক্ত সদস্য নিয়োজিত করা হয়েছে।
পাশাপাশি পুলিশের ৮টি মোবাইল টিম ও ৪টি মোবাইল স্ট্রাইকিং টিম, র্যাবের ৪টি টিম ও ৪ প্লাটুন বিজিবি নিয়োজিত রয়েছে নির্বাচন এলাকায়।
সংক্ষিপ্ত বিচার কাজ পরিচালনায় ১২ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও ২ জন বিচারিক ম্যাজিস্ট্রেট দায়িত্ব পালন করবেন।
উল্লেখ্য, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য ডা. আফছারুল আমীনের মৃত্যুতে আসনটিতে উপ-নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে।
সূত্র : ইউএনবি
Leave a Reply