রাশিয়ার ভাড়াটে ওয়াগনার বাহিনীর সাথে ইউক্রেন যুদ্ধে দেশটির শীর্ষ কমান্ডার জেনারেল সার্গেই সুরোভিকিনের ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক থাকার প্রমাণ পাওয়ার দাবি করা হয়েছে। ওয়াগনার বাহিনীর বিদ্রোহের পর থেকে সুরোভিকিন কোথায় আছেন, তা জানা যাচ্ছে না।
রুশিয়ান ইনভেস্টিগেশন ডসিয়ার সেন্টারের প্রাপ্ত তথ্যে দেখা যায়, ওয়াগানে সুরোভিকিনের ব্যক্তিগত নিবন্ধন নম্বর ছিল। রুশ সামরিক বাহিনীর ও গোয়েন্দা সংস্থার অন্তত ৩০ জন সদস্য ওয়াগনারের ভিআইপি সদস্য ছিলেন।
গত শনিবার থেকে সুরোভিকিনকে প্রকাশ্যে দেখা যাচ্ছে না। ওই সময় তিনি বিদ্রোহ বন্ধ করার জন্য ওয়াগনারের বস ইয়েভগেনি প্রিগোঝিনের প্রতি আহ্বান জানিয়েছিলেন। এর পর থেকে তার অবস্থান অজানা রয়ে গেছে।
সুরোভিকিন ছিলেন রুশ বিমানবাহিনীর খুবই খ্যাতিমান কমান্ডার। সিরিয়ার বিভিন্ন নগরীতে নির্মমভাবে বোমা বর্ষণের জন্য তিনি ’জেনারেল আরমাগেডন’ নামে কুখ্যাতি অর্জন করেন।
এ ব্যাপারে সিএনএন ওয়াগনারের কাছে জানাতে চাইলেও কোনো জবাব পাওয়া যায়নি। সুরোভিকিন ওয়াগনারের কাছ থেকে আর্থিক সুবিধা পেতেন কিনা তাও জানা যায়নি।
সুরোভিকিন ভাড়াটে গ্রুপটির সাথে যোগাযোগ রাখতেন বলে জানা যায়। তবে প্রাপ্ত নথিপত্রে দেখা যাচ্ছে যে রুশ সামরিক বাহিনী ও ওয়াগনারের মধ্যে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক ছিল।
গত সপ্তাহে প্রিগোঝিনের সংক্ষিপ্ত বিদ্রোহের সময় ওয়াগনার যোদ্ধারা দক্ষিণাঞ্চলীয় রুশ নগরী রোস্তভ-অন-ডন দখল করে নেয়। পরে তারা সমঝোতার শর্তানুযায়ী বিদ্রোহ ত্যাগ করে। প্রিগোঝিন বর্তমানে বেলারুশ কর্তৃপক্ষের নিয়ন্ত্রণে রয়েছেন।
সূত্র : সিএনএন, আল জাজিরা ও অন্যান্য
Leave a Reply