করোনাভাইরাসের কারণে বন্ধ ছিল সিনেমার শুটিং। দীর্ঘদিন বন্ধ থাকার পর আগামী ৫ জুন থেকে শুটিং করা যাবে। আজ মঙ্গলবার বিকেলে চলচ্চিত্র সংশ্লিষ্ট সংগঠনগুলো এক যৌথ সভায় এ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে। এতে অংশ নেন চলচ্চিত্র প্রযোজক-পরিবেশক সমিতি, চলচ্চিত্র পরিচালক সমিতি, শিল্পী সমিতি, প্রদর্শক সমিতি।
বৈঠকে অংশ নেওয়া সংগঠনগুলোর নেতারা জানান, চলচ্চিত্রে দুর্দিন চলছে অনেক দিন থেকে। এবার করোনাভাইরাসের কারণে সেই দুর্দিন আরও দীর্ঘ হচ্ছে। সুদিন আসা অনেক কঠিন হয়ে পড়েছে। এ শিল্পের সঙ্গে জড়িতদের কথা ভেবেই এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
চলচ্চিত্র পরিচালক সমিতির সভাপতি মুশফিকুর রহমান গুলজার বলেন, ‘সরকার নজর না দিলে চলচ্চিত্র ঘুরে দাঁড়াতে পারবে না। আমার বিশ্বাস বর্তমান সরকার এ ব্যাপারে উদ্যোগ গ্রহণ করবে। আপাতত শুটিং করার ব্যাপারে আমরা একমত হয়েছি।’
প্রযোজক-পরিবেশক সমিতির সভাপতি খোরশেদ আলম খসরু বলেন, ‘সবাই মিলেই শুটিং শুরুর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। স্বাস্থ্যবিধি মেনেই শুটিং করা হবে।’
করোনার আগে থেকেই একের পর এক বন্ধ হয়ে যাচ্ছিল সিনেমা হল। এখন সব হলই বন্ধ রয়েছে। আবার এগুলো চালু করতে কতদিন লাগবে এটা কেউ বলতে পারছেন না। সারা দেশজুড়ে চালু থাকা প্রায় ৮০টির মতো সিনেমাহল বন্ধ করে রাখা হয়েছে। আড়াই মাস পার হলেও করোনা পরিস্থিতির উন্নতি হয়নি বরং দিনে দিনে অবনতি হচ্ছে।
চলচ্চিত্র প্রদর্শক সমিতির সভাপতি কাজী শোয়েব রশিদ বলেন, ‘করোনার কারণে সব সেক্টরই মারাত্মক ক্ষতির মুখে পড়ছে। তবে সবচেয়ে ক্ষতির মুখে আছে দেশের চলচ্চিত্র ও সিনেমা হল। কয়েকমাস পরও সবকিছু যদি স্বাভাবিক হয় তারপরেও চলচ্চিত্রাঙ্গন স্বাভাবিক হতে সময় লাগবে কয়েক বছর। সিনেমা হল চালু হলেও দর্শক আদৌ আসবে কিনা সেটাও একটা প্রশ্ন। তারপরও ভালো সিনেমা দিয়ে বাঁচাতে হবে চলচ্চিত্রকে। আর চলচ্চিত্র বাঁচলে সিনেমা হলও বাঁচবে। পাশাপাশি সিনেমা হল বাঁচাতে সরকার প্রণোদনা দিলে দেশের অধিকাংশ সিনেমা হলই হয়তো ভবিষ্যতে ঘুরে দাঁড়াতে পারবে।’
Leave a Reply