গ্রিস উপকূলে জাহাজডুবিতে অন্তত ৩০০ পাকিস্তানি নিহত হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। তাদের মধ্যে ৭৮ জনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে।
মঙ্গলবার মধ্যপ্রাচ্যভিত্তিক গণমাধ্যম মিডল ইস্ট মনিটরের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, লিবিয়া থেকে ৭৫০ যাত্রী নিয়ে ইতালির উদ্দেশে পাড়ি জমায় জাহাজটি। পথিমধ্যে মিশর থেকে আরো কিছু যাত্রী নেয়। এতে যাত্রীর পরিমাণ স্বাভাবিকের চেয়ে অনেক বেশি হয়ে যায়। এ সময় পাকিস্তানিদের ডেকের নিচের দিকে দেয়া হয়। পরে নৌকাটি গ্রিসের উপকূলে গেলে ডুবে যায়। পাকিস্তানিরা নিচের দিকে থাকায় তাদের ক্ষতির পরিমাণ বেশিই হয়েছে।
ইইউ কমিশনার ফর হোম অ্যাফেয়ার্স ইলভা জোহানসন বলেছেন যে এই বছর লিবিয়ার পূর্বাঞ্চল থেকে প্রস্থানের পরিমাণ ৬০০ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে।
গ্রীক এবং ইইউ কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, তারা জানত না যে জাহাজটি অসুবিধায় ছিল। অবশ্য এনজিও সংস্থাগুলো বলেছে, তারা সাহায্যের জন্য বেশ কয়েকটি কল পেয়েছে।
সমুদ্রে সমস্যায় থাকা উদ্বাস্তুদের জন্য জরুরি হটলাইন এলার্ম ফোন জানিয়েছে যে নৌকাটি যখন সঙ্কটাপন্ন অবস্থায় ছিল, কোস্টগার্ডরা বিষয়টি অবহিত হয়েছিল।
বিবিসির একটি তদন্তে দেখা গেছে, নৌকাটি ডুবে যাওয়ার আগে কমপক্ষে সাত ঘণ্টা স্থির ছিল। তবে গ্রীক কর্তৃপক্ষ দাবি করেছিল যে নৌকাটি ইতালির দিকে অগ্রসর হতে হতেই ডুবেছিল।
জাহাজটি উদ্ধারের জন্য আগে কেন পদক্ষেপ নেয়া হয়নি, এ বিষয়ে তদন্তের জন্য জাতিসঙ্ঘ তদন্তের আহ্বান জানিয়েছে।
তবে এ ট্র্যাজেডি থেকে বেঁচে যাওয়া একজন বলেছেন, গ্রিক কোস্টগার্ড ভুল জায়গায় দড়ি বেঁধে নৌকাটি তীরে নেয়ার চেষ্টা করছিল। এর মধ্যেই নৌকাটি ডুবে যায়।
গ্রীক কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, নৌকাটি ডুবে যাওয়ার সময় তারা কাছাকাছি কোথাও ছিল না।
কাউন্সিল অফ ইউরোপের মানবাধিকার কমিশনার দুনজা মিজাতোভিচ বলেছেন, ‘আমি শরণার্থী ও অভিবাসীদের বিরুদ্ধে মানবাধিকার লঙ্ঘনের প্রতি ইউরোপীয়দের নির্লিপ্ততা ও সহনশীলতা দেখে স্তম্ভিত হয়েছি।’
সূত্র : মিডল ইস্ট মনিটর
Leave a Reply