প্রেসিডেন্ট রজব তাইয়্যিপ এরদোগান বলেছেন, সামরিক অভ্যুত্থানের সময়ে প্রণীত সংবিধান থেকে মুক্তি পেতে তুরস্করে দরকার আরো নাগরিকমুখী ও গণতান্ত্রিক সংবিধানের।
আঙ্কারায় আট ঘণ্টার মন্ত্রিসভার বৈঠকশেষে সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে এরদোগান বলেন, ‘আমরা নাগরিকদের সাথে আরো এগুতে চাই, একটি ব্যাপকভিত্তিক ও উদার সংবিধান প্রণয়ন করতে চাই।’
বর্তমান সংবিধান প্রণীত হয়েছিল ১৯৮০ সালেল সামরিক অভ্যুত্থানের পর। অবশ্য, এরপর সংবিধানে বেশ কয়েকটি সংশোধনী হযেছে। ১৯৮০ সালের ওই সামরিক অভ্যুত্থানের পর হাজার হাজার লোককে গ্রেফতার ও গণবিচারের মুখোমুখি করা হয়েছিল, নির্যাতন ও নিপীড়ন চালানো হয়েছিল। তুর্কি রাজনৈতিক ইতিহাসে সেটি কালো অধ্যায় হিসেবে চিহ্নিত হয়ে আছে।
নতুন সংবিধানে স্বাধীনতা, নিরাপত্তার অধিকার, ন্যায়বিচারের অধিকার, কথা বলার স্বাধীনতা সেইসাথে নারী ও অক্ষমদের বিশেষ অধিকার থাকবে। বর্তমান সংবিধানে এসব অধিকার খর্ব করে আমলাতন্ত্রকে অনেক বেশি ক্ষমতা দেয়া হয়েছে।
তিনি তুরস্কে প্রেসিডেন্ট পদ্ধতির পক্ষেই কথা বলেন। তিনি বলেন, ১৪ মে ও ২৮ মের নির্বাচন পুরনো ব্যবস্থায় ফিরে যাওয়ার প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছে। পার্লামেন্টারি ব্যবস্থা নিয়ে আলোচনা একেবারেই শেষ হয়ে গেছে।
তিনি বলেন, প্রেসিডেন্ট পদ্ধতির ব্যবস্থায় নির্বাচনের পর দ্রুত ও সাবলীলভাবে ক্ষমতা হস্তান্ত করা যায়। এতে এই ব্যবস্থার কার্যকারিতা প্রমাণিত হয়।
সূত্র : ডেইলি সাবাহ
Leave a Reply