করোনাকালীন সরকারি বিধিনিষেধ মেনে শুটিং শুরু করতে যাচ্ছে টেলিভিশনের ১৫টি সংগঠন। সংগঠনগুলোর সমন্বয়ক প্ল্যাটফর্ম এফটিপিও’র সভাপতি নাট্যজন মামুনুর রশীদ স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে বিষয়টি জানানো হয়েছে।
এতে বলা হয়, আগামীকাল থেকে শুটিং শুরু করা যাবে। তবে গল্পে কোনোভাবেই ঘনিষ্ঠ দৃশ্য রাখা যাবে না! কিন্তু এই ‘ঘনিষ্ঠ দৃশ্য’ কতোটা বা কেমন ‘ঘনিষ্ঠ’, সে বিষয়ে সংশ্লিষ্টদের কাছে স্পষ্ট কোনো ধারণা পাওয়া যায়নি। এছাড়াও এতে বলা হয়েছে, জনসমাগম হয় এমন স্থানে শুটিং করা যাবে না। একটি দৃশ্যে তিনজনের বেশিসংখ্যক শিল্পীর সমাগম ঘটানো যাবে না। অন্তত তিন ফুট দূরত্ব বজায় রেখে মাস্টার শট নিতে হবে। পাশাপাশি পাণ্ডুলিপিহীন কোনো নাটক নির্মাণ না করার নির্দেশও দেওয়া হয়েছে এতে।
এমনকি শুটিংয়ে যাওয়ার আগে শিল্পীকে ১৪ দিন কোয়ারেন্টিনে থাকতে হবে। এছাড়া অভিনয় শিল্পীদের নিজ দায়িত্বে মেকআপ করে আসতে হবে। আর সবার মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক।
সংগঠন দুটির সাধারণ সম্পাদক এসএ হক অলিক ও আহসান হাবিব নাসিম জানান, সংক্রমণ এড়াতে সবাইকে জীবাণুনাশক ব্যবহার ও গাড়ি ব্যবহারে সাবধান হতে হবে।
তারা বলেন, সরকারের দেওয়া নির্দেশের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে শুটিংয়ের সময় বেঁধে দেওয়া হয়েছে সকাল ১০টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত। উপরোক্ত নির্দেশাবলীর যেকোনও বিষয় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের ঘোষণার সঙ্গে সমন্বয় করে আন্তঃসংগঠনের নেতারা সংযোজন ও বিয়োজন করতে পারবে।
চিঠিতে আরও উল্লেখ করা হয়, ষাটোর্ধ্ব শিল্পী কলাকুশলীদের অংশগ্রহণ করালে তাদের বিষয়ে অতিরিক্ত সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে। শিশু/কিশোর শিল্পীদের আপাতত কোনো নাটকে অংশগ্রহণ করানো যাবে না।
শুটিং আরম্ভ হওয়ার পূর্বে যদি সম্ভব হয়, কলাকুশলীবৃন্দ পিপিই পরিধান করে কাজে অংশগ্রহণ করবেন। বিশ্বের বহুদেশের নীতিতে এটা রাখা এবং শুটিং শুরুর আগে শরীরের তাপমাত্রা পরিমাপ করতে হবে সবার।
এর আগে, করোনা পরিস্থিতির কারণে গত ২২ মার্চ থেকে টিভি নাটকের শুটিং বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেয় নাটকের আন্তঃসংগঠনগুলো। মাঝে শুটিংয়ে ফেরার ঘোষণা দিলে নানা সমালোচনার মুখে কয়েক ঘণ্টার ব্যবধানেই সে সিদ্ধান্ত বাতিল করা হয়।
Leave a Reply