যুক্তরাষ্ট্র ও ইরান একটি সমঝোতার কাছাকাছি পৌঁছেছে। সবকিছু ঠিক থাকলে ইরান তার ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ কার্যক্রম হ্রাস করার বদলে তেল রফতানিসহ কিছু অবরোধ থেকে রেহাই পেতে পারে। আলোচনার সাথে সম্পৃক্ত দুটি সূত্র বিষয়টি মিডল ইস্ট আইকে নিশ্চিত করেছে।
ইরানি এক কর্মকর্তা এবং আলোচনার সাথে ঘনিষ্ঠ এক ব্যক্তি বলেন, আলোচনা সরাসারি যুক্তরাষ্ট্রের মাটিতে হচ্ছে। তারা বলেন, তবে জেসিপিওএ নামে পরিচিত ২০১৫ সালের পরমাণু চুক্তিতে ফিরে যাওয়ার ব্যাপারে মার্কিন পক্ষের মধ্যে এখনো অনীহা বিরাজ করছে।
যুক্তরাষ্ট্র-ইরান আলোচনায় ইরানি দলের নেতৃত্বে রয়েছেন আমির সাইদ ইরাভানি। তিনি সম্প্রতি জাতিসঙ্ঘে ইরানি রাষ্ট্রদূত হিসেবে যোগ দিয়েছেন। উল্লেখ্য, বাগদাদে ইরান-সৌদি আরব সমঝোতার প্রাথমিক পর্যায়ে তিনিই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন।
আমেরিকান পক্ষে আলোচনায় নেতৃত্ব দিচ্ছেন ইরানবিষয়ক মার্কিন বিশেষ দূত রবার্ট ম্যালে। তিনি ইরাভানির সাথে বেশ কয়েকবার মুখোমুখি বৈঠকে বসেছেন।
সূত্র জানায়, আলোচনায় বেশ অগ্রগতি হয়েছে এবং সাময়িক একটি চুক্তির কাছাকাছি পৌঁছেছেন তারা।
প্রাথমিক সমঝোতা অনুযায়ী, ইরান তার ৬০ ভাগ বা এর বেশি ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ কার্যক্রম পরিত্যাগ করবে এবং তদারকির ব্যাপারে আন্তর্জাতিক আনবিক শক্তি কমিশনের সাথে সহযোগিতা করবে।
সূত্র জানায়, এর বিনিময়ে তেলানকে প্রতিদিন কয়েক মিলিয়ন ব্যারেল তেল রফতানি করার অনুমতি দেয়া হবে। এছাড়া বিদেশে জব্দ করা অর্থও ফেরত পাওয়ার সুযোগ দেয়া হবে। এসব অর্থ খাবার ও ওষুধসহ নিত্যপণ্য ক্রয়ে ব্যবহার করা হবে।
Leave a Reply