1. tasermahmud@gmail.com : admi2017 :
  2. akazadjm@gmail.com : Taser Khan : Taser Khan
সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ১২:৪৩ অপরাহ্ন

বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ কমে ২৯ বিলিয়ন ডলারের ঘরে

রিপোর্টারের নাম
  • আপডেট টাইম : শুক্রবার, ২৬ মে, ২০২৩

বৈদেশিক মুদ্রার মজুদ আবারো কমে ২৯ বিলিয়নের ঘরে নেমেছে। বৃহস্পতিবার (২৫ মে) বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ কমে ২৯.৮ বিলিয়নে নেমে এসেছে। যেখানে আগের বছরের একই সময়ে তা ছিল ৪ হাজার ৬০০ কোটি ডলার। অর্থাৎ আলোচ্য সময়ে রিজার্ভ কমেছে প্রায় ১৬ বিলিয়ন ডলার।

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে, প্রতিদিনই সঙ্কটে পড়া ব্যাংকগুলোর কাছে রিজার্ভ থেকে ডলার বিক্রি করতে হচ্ছে। বৃহস্পতিবারও প্রায় ৬ কোটি ডলার বিক্রি করা হয়েছে। কিন্তু রিজার্ভের সাথে যুক্ত হচ্ছে তুলনামূলকভাবে কম। এ কারণেই রিজার্ভ কমে যাওয়ার ধারাবাহিকতা ঠেকানো যাচ্ছে না।

বাংলাদেশ ব্যাংকের সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে, আইএমএফের কাছ থেকে ঋণ পেতে হলে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ২৪ বিলিয়ন ডলারের উপরে রাখতে হবে। কিন্তু আকুর দায় পরিশোধ করার পর তা ২২ বিলিয়নের ঘরে চলে যাবে। যদিও কেন্দ্রীয় ব্যাংকের পক্ষ থেকে আইএমএফের প্রতিনিধি দলের সাথে বৈঠকে আইএমএফের প্রেসকিপশন অনুযায়ী রিজার্ভ গণনা পদ্ধতি জুন মাসের পর থেকে করা হবে বলে বলা হয়েছি। আর আইএমএফ থেকে বলা হয়েছে আন্তর্জাতিক মানদণ্ড অনুযায়ী রিজার্ভ গণনা করতে হবে। যেটুকু ইতোমধ্যে ব্যবহার হয়েছে তা রিজার্ভের গণনায় আনা যাবে না। প্রসঙ্গত, রফতানি উন্নয়ন তহবিল, বিমানের ঋণ, পায়রা বন্দরসহ বেশ কিছু খাতে প্রায় ৮ বিলিয়ন ডলার ঋণ দেয়া হয়েছে। আইএমএফ বলছে এ অর্থ রিজার্ভ থেকে বাদ দিতে হবে।

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে, বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে আমদানি ব্যয় কমানোর জন্য নানা উদ্যোগ নিয়েছে। এতে অর্থবছরের প্রথম আট মাসে আমদানি প্রবৃদ্ধি কমে নেমেছে ঋণাত্মক প্রায় সাড়ে ১০ শতাংশ, যেখানে আগের বছরের একই সময়ে প্রবৃদ্ধি ছিল প্রায় ৫০ শতাংশ। এ হিসেবে এক বছরে আমদানি কমেছে ৬০ শতাংশ। কিন্তু এর পরেও রিজার্ভ কমে যাওয়ার ধারাবাহিকতা ঠেকানো যাচ্ছে না।

চলতি মাসের শুরুতে এশিয়ান ক্লিয়ারিং ইউনিয়নে (আকু) মার্চ-এপ্রিল সময়ের আমদানি বিল বাবদ ১১৮ কোটি ডলার পরিশোধের পর রিজার্ভ কমে ৩০ বিলিয়নের নিচে নেমেছিল। এরপর বিশ্বব্যাংকের ঋণের টাকা আসায় তা খানিকটা বাড়ে। বাংলাদেশ ব্যাংক সূত্রে এই তথ্য পাওয়া গেছে।

বৈদেশিক মুদ্রার সর্বশেষ মজুত নিয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের আনুষ্ঠানিক বক্তব্য পাওয়া যায়নি। তবে নাম প্রকাশ না করার শর্তে একজন কর্মকর্তা জানান, বাজারে এখনো ডলারের ঘাটতি রয়ে গেছে। ডলারের চাহিদা যতটা, সরবরাহ তার তুলনায় কম। তাই প্রতিদিন ডলার বিক্রি করে জোগান দেওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে। আপাতত আর কোনো বিকল্প হাতে নেই।

২০২০ সালে কোভিড মহামারী শুরু হলে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ দ্রুত বাড়তে থাকে। বিমান চলাচল বন্ধ থাকায় ওই সময় সব প্রবাসী আয় বৈধ পথে তথা ব্যাংকিং চ্যানেলে দেশে আসে। আবার আমদানিও কমে যায়। ফলে রিজার্ভ বেড়ে ২০২১ সালের আগস্টে প্রথমবারের মতো ৪ হাজার ৮০০ কোটি ডলার ছাড়িয়ে যায়।

নিউজটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর..
© All rights reserved © 2019-2023 usbangladesh24.com