1. tasermahmud@gmail.com : admi2017 :
  2. akazadjm@gmail.com : Taser Khan : Taser Khan
সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ০২:২৭ অপরাহ্ন

বাংলাদেশে আসা তুলার ফিউমিগেশন বাতিলকে স্বাগত জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র

রিপোর্টারের নাম
  • আপডেট টাইম : মঙ্গলবার, ২৩ মে, ২০২৩

যুক্তরাষ্ট্র থেকে আমদানি করা তুলা বাংলাদেশের বন্দরে ফিউমিগেশন (বিষবাষ্পীকরণের মাধ্যমে পতঙ্গমুক্ত করার প্রক্রিয়া) ছাড়াই আসতে পারবে। মঙ্গলবার (১৬ মে) থেকে কার্যকর হওয়া আইন অনুযায়ী বাংলাদেশী আমদানিকারকদের শত শত কোটি টাকা ব্যয়-সাশ্রয় হওয়ার পাশাপাশি পাঁচ দিন অপেক্ষার অবসান হবে।

সোমবার ঢাকায় মার্কিন দূতাবাস জানিয়েছে, বাংলাদেশের কৃষি মন্ত্রণালয়ের একটি কারিগরি প্রতিনিধিদল ২০২২ সালের নভেম্বরে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে সফল সফরের পর ১৬ মে থেকে এই সিদ্ধান্ত কার্যকর করা হয়।

প্রতিনিধি দলটি যুক্তরাষ্ট্র সফরকালে সরজমিনে যুক্তরাষ্ট্রের তুলা উৎপাদন প্রক্রিয়া পরিদর্শন করেছে এবং তাদের কীটপতঙ্গ ব্যবস্থাপনা কৌশল যাচাই করে দেখেছে।

এই সময়ে তারা তুলা প্রক্রিয়াকরণে যে কৌশলগুলো অনুসরণ করে- জিনিং বা তুলা থেকে বীজ ও ময়লা পরিষ্কার করা, লিন্ট ক্লিনিং বা পাতা, ঘাস বা অন্যান্য উপাদান সরিয়ে ফেলা, তুলার বেল তৈরির সময় কঠোরভাবে চাপানো- দেখে আশ্বস্ত হয়েছে যে আমেরিকা থেকে আমদানি করা তুলাতে বোল উইভিল বা তুলার ভোমরা পোকা থাকার কোনও উপায় বা সম্ভাবনা নেই।

বাংলাদেশ তুলা আমদানির দিক থেকে বিশ্বে দ্বিতীয় বৃহত্তম আমদানিকারক দেশ, যা দেশটিকে যুক্তরাষ্ট্রের তুলার সপ্তম বৃহত্তম রপ্তানি বাজারে পরিণত করেছে এবং যার আর্থিক মূল্য ২০২২ সালে ৪৭৫ মিলিয়ন ডলার বা প্রায় পাঁচ হাজার কোটি টাকা ছাড়িয়েছে।

এবং বাংলাদেশ বিশ্বের অন্যতম বৃহত্তম তৈরি পোশাক রপ্তানিকারক দেশ। আগে যুক্তরাষ্ট্র থেকে আমদানি করা তুলা ফিউমিগেশন বা বিষবাষ্পীকরণের মাধ্যমে পতঙ্গমুক্ত করার প্রক্রিয়ার বাধ্যবাধকতা থাকায় একদিকে আমদানিকারকের কাছে তুলা পৌঁছাতে দেরি হতো। অন্যদিকে বাংলাদেশি আমদানিকারকদের প্রতিবছর শত শত কোটি টাকা এই বাবদ খরচ করতে হতো।

আমেরিকা থেকে আমদানি করা উচ্চমানের ও টেকসই তুলার ফিউমিগেশন বা বিষবাষ্পীকরণের মাধ্যমে পতঙ্গমুক্ত করার প্রক্রিয়ার প্রথা বাতিল করায় এখন আমেরিকান তুলা সরাসরি ও সহজেই বাংলাদেশি আমদানিকারকদের মাধ্যমে তৈরি পোশাক শিল্পের সাপ্লাই চেইন বা সরবরাহ ব্যবস্থায় প্রবেশ করতে পারবে। ফলে বাংলাদেশি তৈরি পোশাক খাতের উল্লেখযোগ্য সময় ও অর্থ সাশ্রয় হবে।

রাষ্ট্রদূত হাস বলেন, যৌথভাবে কাজ করার মাধ্যমে সমস্যা সমাধান করতে পারা এবং একসঙ্গে কাজ করার মাধ্যমে সমৃদ্ধি বাড়ানো ও বাণিজ্যের বাধাগুলো দূর করার একটি বড় উদাহরণ যুক্তরাষ্ট্র ও বাংলাদেশ।

তিনি আরও বলেন, আমেরিকান ভোক্তারা যেহেতু বাংলাদেশে উৎপাদিত টেকসই, উচ্চমানের পোশাকের উপর নির্ভর করে তাই বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধি ও বৈদেশিক মুদ্রার আয় বাড়াতে উচ্চমানের আমেরিকান তুলা প্রয়োজন রয়েছে।

বাংলাদেশের কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাকও এই পদক্ষেপকে স্বাগত জানিয়েছেন।

তিনি বলেছেন, বাংলাদেশের কৃষি মন্ত্রণালয় জলবায়ু সঙ্কট মোকাবিলা, উদ্ভাবনী প্রযুক্তির বিকাশ ও খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য বাংলাদেশ এবং বিশ্বজুড়ে যুক্তরাষ্ট্রের কৃষি বিভাগের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করা অব্যাহত রাখতে আগ্রহী।

গত ২২ বছরেরও বেশি সময় ধরে যুক্তরাষ্ট্রের সরকার আমেরিকার তুলা শিল্পের সহযোগিতায় আমদানি করা তুলার ফিউমিগেশন বা বিষবাষ্পীকরণের মাধ্যমে পতঙ্গমুক্ত করার বাধ্যবাধকতা বাতিলের জন্য বাংলাদেশ সরকারের সাথে ক্রমাগত আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছিল।

সূত্র : ইউএনবি

নিউজটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর..
© All rights reserved © 2019-2023 usbangladesh24.com