ইউক্রেনকে এফ-১৬ যুদ্ধবিমান দেয়া হলে তা ‘মারাত্মক ঝুঁকি” সৃষ্টি করতে পারে বলে পাশ্চাত্যের দেশগুলোকে হুঁশিয়ার করে দিয়েছেন রুশ উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রী আলেক্সান্ডার গ্রুশকো।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন তার আগের অবস্থান থেকে সরে গিয়ে ইউক্রেনের পাইলটদেরকে এফ-১৬ বিমান উড্ডয়নের প্রশিক্ষণ দেয়ার কথা ঘোষণা করার প্রেক্ষাপটে রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় মিডিয়া তাস শনিবার এ খবর পরিবেশন করেছে।
এফ-১৬ যুদ্ধবিমানকে খুবই কার্যকর অস্ত্র বিবেচনা কর হয়। এই বিমানের পাল্লা ৫০০ মাইল (৮৬০ কিলোমিটার)। ফলে এফ-১৬ পেলে ইউক্রেনের বিমানবাহিনী খুবই শক্তিশালী হয়ে ওঠবে।
যুক্তরাষ্ট্রের এই পদক্ষেপের জবাবে গ্রুশকো বলেন, পাশ্চাত্যের দেশগুলো এখনো পরিস্থিতির অবনতি ঘটাচ্ছে।
তিনি বলেন, এতে বিপুল ঝুঁকি রয়েছে। আমরা সব হিসাব মাথায় রাখছি। আমরা আমাদের লক্ষ্য বাস্তবায়নে প্রয়োজনীয় সবকিছু করব।
বাইডেন জি৭ নেতাদের বলেন, যুক্তরাষ্ট্র ইউক্রেনকে এফ-১৬ যুদ্ধবিমানের প্রশিক্ষণ দেবে। আর ইউক্রেনকে এফ-১৬ যুদ্ধবিমান কেনায় সহায়তা করার জন্য যুক্তরাজ্য ও নেদারল্যান্ডস ‘আন্তর্জাতিক জোট’ গঠন করেছে বলে জানা গেছে।
মার্কিন-নির্মিত এফ-১৬ বিমান ইউরোপের মাত্র কয়েকটি দেশে রয়েছে। এদের একটি হলো নেদারল্যান্ডস। ফলে ধারণা করা হচ্ছে, নেদারল্যান্ডস তাদের কাছে থাকা কয়েকটি এফ-১৬ বিমান ইউক্রেনের কাছে বিক্রি করতে আগ্রহী। তবে এতে স্পর্শকাতর মার্কিন প্রযুক্তি থাকায় তৃতীয় পক্ষের কাছে হস্তান্তর করার আগে যুক্তরাষ্ট্রের অনুমতি প্রয়োজন।
ইউক্রেনে রুশ হামলার পর থেকেই প্রেসিডেন্ট ভোলোদিমির জেলেনস্কি এফ-১৬ বিমান সরবরাহ করার দাবি জানিয়ে আসছিলেন। তবে এই বিমান রুশ ভূখণ্ডেও হামলা চালাতে পারায় ন্যাটো ও রাশিয়ার মধ্যে উত্তেজনা বাড়াতে পারে বলে শঙ্কার সৃষ্টি হয়েছে।
সূত্র : সিএনএন
Leave a Reply