জাপানের হিরোশিমায় বিশ্বের ধনী দেশগুলোর জোট জি-৭-এর শীর্ষ সম্মেলন শুরু হয়েছে। গতকাল শুক্রবার সকালে এ সম্মেলন শুরু হয়। সম্মেলনে রাশিয়ার বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা কঠোর করতে সম্মত হয়েছেন জি-৭-এর নেতারা। এমনকি ইউক্রেনের জন্য আর্থিক সহায়তার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছে। খবর রয়টার্সের।
জাপানের হিরোশিমায় সম্মেলন শুক্রবার সকালে শুরু হলেও বৃহস্পতিবার স্বাগতিক দেশ জাপানের প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদার সঙ্গে পৃথকভাবে বৈঠক করেছেন জি-৭-এর শীর্ষ নেতারা। এই সম্মেলনে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির যোগ দেওয়ার কথা রয়েছে। জোটের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, জেলেনস্কি সপ্তাহের শেষ দিকে যোগ দিতে পারেন।
তবে শুক্রবারের সম্মেলনে জোটের নেতারা রাশিয়ার বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা আরও কঠোর করতে সম্মত হয়েছে। ইউক্রেন যুদ্ধে সহায়তা করতে পারে এমন কোনো কিছুর রপ্তানি বন্ধ রাখবে জি-৭ জোট। বিশেষ করে শিল্প যন্ত্রপাতি, সরঞ্জাম এবং অন্যান্য প্রযুক্তি যা যুদ্ধাস্ত্র পুনর্নির্মাণের জন্য ব্যবহার করতে না পারে রাশিয়া। এমনকি ধাতব পদার্থ ও হীরা রপ্তানি করে রাশিয়া যাতে রাজস্ব আয় করতে না পারে সেদিকে খেয়াল রাখবে জোট। যৌথ বিবৃতিতে জোটের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, যেসব পণ্য, পরিসেবা বা প্রযুক্তি রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে তা যেন কোনোভাবে রপ্তানি না করা হয়। ২০২২ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে রুশ সামরিক অভিযান শুরু হয়। পুতিনের নির্দেশে ওই সামরিক আগ্রাসন শুরু হয়। আক্রান্ত দেশটি ও এর ইউরোপীয় ও পশ্চিমা মিত্ররা একে যুদ্ধ বললেও মস্কো একে ‘বিশেষ সামরিক অভিযান’ বলেই অভিহিত করে আসছে। নিকট প্রতিবেশী রাষ্ট্রগুলোয় পশ্চিমা সামরিক জোট ন্যাটোর সম্ভাব্য সম্প্রসারণে রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তা হুমকির মুখে পড়ছে এ চিন্তা থেকে দেশের ভবিষ্যতের জন্য প্রেসিডেন্ট পুতিন ইউক্রেনে আক্রমণের নির্দেশ দিয়েছিলেন।
ইউক্রেনে যুদ্ধাপরাধ ও মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে পুতিনের বিরুদ্ধে আইনি প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। গত মাসে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত (আইসিসি) পুতিনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন।
Leave a Reply