1. tasermahmud@gmail.com : admi2017 :
  2. akazadjm@gmail.com : Taser Khan : Taser Khan
শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১০:১০ অপরাহ্ন

আবেদ খানের দাবি করা ৩০০ কোটি টাকার বাড়ি সরকারের : আপিল বিভাগ

রিপোর্টারের নাম
  • আপডেট টাইম : সোমবার, ১৫ মে, ২০২৩

রাজধানীর ধানমন্ডিতে সাংবাদিক আবেদ খান ও এস নেহাল আহমেদের দাবি করা তিন শ’ কোটি টাকার বাড়ি সরকারের মালিকানায় থাকবে বলে রায় দিয়েছেন আপিল বিভাগ।

আজ সোমবার প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীর নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের আপিল বিভাগ এ রায় দেন।

আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন ও ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল কাজী মাঈনুল হাসান।

ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল কাজী মাঈনুল হাসান বলেন, রাজধানী ধানমন্ডির ২ নম্বর রোডের প্রায় তিন শ’ কোটি দামের পরিত্যক্ত সম্পত্তি ২৯ নম্বর বাড়ি সরকারের বলে হাইকোর্ট যে রায় দিয়েছিলেন আপিল বিভাগ আজ সেই রায় বহাল রেখেছেন। হাইকোর্টের পুরো রায় বহাল থাকায় সাংবাদিক আবেদ খানকে জরিমানার রায়ও বহাল রয়েছে।

রাজধানীর ধানমন্ডির ২ নম্বর সড়কের ২৯ (তৎকালীন ১৩৯/এ) নম্বর বাড়িটি পরিত্যক্ত সম্পত্তির তালিকা থেকে বাদ দিতে প্রথম কোর্ট অব সেটেলমেন্টের দেয়া রায় বাতিল করে রায় দেন হাইকোর্ট। এই রায়ের বিরুদ্ধে এস নেহাল আহমেদ নামের এক ব্যক্তির করা লিভ টু আপিলের (আপিলের অনুমতি চেয়ে আবেদন) ওপর এ রায় দেন আপিল বিভাগ।

ওই বাড়ি নিয়ে পৃথক দুটি রিটের চূড়ান্ত শুনানি শেষে গত বছরের ২১ নভেম্বর কোর্ট অব সেটেলমেন্টের রায় বাতিল করে হাইকোর্ট রায় দেন। এই রায়ের বিরুদ্ধে নেহাল আহমেদ চলতি বছর লিভ টু আপিল করেন। গত সপ্তাহে এ সংক্রান্ত শুনানিতে আপিল বিভাগ বাড়ি নিয়ে কোর্ট অব সেটেলমেন্টে করা দু’টি মামলার নথি রাষ্ট্রপক্ষকে দাখিল করতে বলেন। এরই ধারাবাহিকতায় রাষ্ট্রপক্ষ গতকাল রোববার নথি দাখিল করে ও শুনানি হয়।

রাষ্ট্রপক্ষের তথ্য অনুযায়ী, ১৯৭২ সালে বাড়িটির তৎকালীন মালিক ছেড়ে যাওয়ার পর সরকার সেটি পরিত্যক্ত সম্পত্তি ঘোষণা করে। এই সম্পত্তির উত্তরাধিকার হিসেবে মালিকানা দাবি করে আবেদ খানসহ তার পরিবারের নয় সদস্য ১৯৮৯ সালে কোর্ট অব সেটেলমেন্টে মামলা করেন। এই মামলায় ১৯৯২ সালে কোর্ট অব সেটেলমেন্টের দেয়া রায়ে বাড়িটির পরিত্যক্ত সম্পত্তি হিসেবে তালিকাভুক্তিকে সঠিক বলা হয়। এরপর বাড়িটিকে পরিত্যক্ত সম্পত্তির তালিকাভুক্ত করার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে আবেদ খান ২০১৫ সালে হাইকোর্টে রিট করেন। রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে ২০১৫ সালের ৬ জুলাই হাইকোর্ট রুল দেন।

অন্যদিকে ১৯৮৭ সালের এক আবেদন দেখিয়ে নেহাল আহমেদ একই সম্পত্তির মালিকানা দাবি করে ১৯৯৬ সালে কোর্ট অব সেটেলমেন্টে আরেকটি মামলা করেন।

এ মামলায় ১৯৯৭ সালের ১৬ জুলাই এক রায়ে বাড়িটি পরিত্যক্ত সম্পত্তির তালিকা থেকে অবমুক্ত করতে এবং নেহাল আহমেদ বাড়ির দখল পেতে পারেন বলে উল্লেখ করা হয়।

এই রায়ের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে সরকারের পক্ষে গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয় ২০১৮ সালে একটি রিট করে। এর প্রাথমিক শুনানি নিয়ে ২০১৮ সালের ৩১ জুলাই হাইকোর্ট রুল দেন। আবেদ খান ও সরকার পক্ষের পৃথক রিটের ওপর একসাথে শুনানি শেষে গত বছরের ২১ নভেম্বর রায় দেন হাইকোর্ট। এই রায়ে নেহালের পক্ষে সেটেলমেন্ট কোর্টের দেয়া রায় বাতিল এবং আবেদ খানের রিট খারিজ (রুল ডিসচার্জ) হয়।

নিউজটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর..
© All rights reserved © 2019-2023 usbangladesh24.com