পাকিস্তানের প্রধান বিরোধী দল তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই) পার্টিকে নিষিদ্ধ করা হতে পারে ধারণা করা হচ্ছে। বিশেষ করে দেশটির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রানা সানাউল্লাহর বক্তব্যে এমন পূর্বাভাসই পাওয়া যাচ্ছে। তাছাড়া সেনাপ্রধান জেনারেল সৈয়দ অসিম মুনির সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানকে গ্রেফতার করার পর সৃষ্ট নৈরাজ্যের জন্য দায়ীদের বিচার করার কথা ঘোষণা করার প্রেক্ষাপটে এমন ধারণার সৃষ্টি হয়েছে।
পাকিস্তানের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রানা সানাউল্লাহ শনিবার বলেন, ইমরান খানকে দুর্নীতির মামলায় গ্রেফতার করার পর তিন দিন ধরে যে সহিংস বিক্ষোভ হয়েছে, তাতে করে পিটিআইকে নিষিদ্ধ করা ছাড়া আর কোনো বিকল্প নেই।
ইমরান খানকে উচ্চতর আদালত জামিন দেয়ার প্রেক্ষাপটে তিনি এমন মন্তব্য করেন।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী শনিবার ইসলামাবাদে এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ‘সশস্ত্র গ্রুপগুলোর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ গুরুত্বপূর্ণ। এই দলের [পিটিআই] বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা আরোপ ছাড়া আর কোনো বিকল্প নেই।’
তিনি বলেন, ‘দলটি তার মনোভাব পরিবর্তণ না করলে’ পাকিস্তান ডেমোক্র্যাটিক মুভমেন্টের (পিডিএম) নেতৃত্বাধীন সরকার দলটিকে নিষিদ্ধ করার চরম পন্থা গ্রহণ করতে বাধ্য হবে।
তিনি বলেন, পিটিআই প্রধানের একমাত্র লক্ষ্য হলো দেশে বিশৃঙ্খলা ও নৈরাজ্য সৃষ্টি।
তিনি বলেন, ইমরান খানের দলের কর্মী ও সমর্থকেরা সরকারি সম্পত্তি ধ্বংস এবং সামরিক স্থাপনায় বলপূর্বক ঢুকে পড়ার জন্য দায়ী।
তিনি বলেন, সরকার এসব অপরাধীদের বিরুদ্ধে মামলা করবে।
এদিকে পাকিস্তানের সেনাপ্রধান সৈয়দ অসিম মুনির বলেছেন, ৯ মের কৃষ্ণ দিবসের পরিকল্পনাকারী, সহযোগী, উস্কানিদাতা ও তাণ্ডব চালানো লোকদের বিচারের আওতায় আনা হবেই।
তিনি বলেন, সশস্ত্র বাহিনী আর কোনো তাণ্ডব, দুর্বৃত্তায়ন বরদাস্ত করবে না।
পেশোয়ারে শনিবার কোর হেডকোয়ার্টার্স পেশোয়ার সফরের সময় তিনি এমন মন্তব্য করেন।
ইমরান খানকে দুর্নীতি মামলায় ৯ মে গ্রেফতার করা হয়েছিল। তারপর দলের কর্মীরা মাঠে নামে। তারা লাহোর কোর কমান্ডারের বাড়ি এবং জেনারেল হেডকোয়ার্টার্সেও হামলা চালায়।
সূত্র : জিও নিউজ
Leave a Reply