বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট গভীর নিম্নচাপটি ঘূর্ণিঝড় ‘মোখা’য় রূপ নিয়েছে। যা দ্রুত শক্তি সঞ্চয় করছে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর।
আজ বৃহস্পতিবার সকালে দেওয়া বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে অধিদপ্তর।
বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, ঘূর্ণিঝড়টি সকাল ৬টায় চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ১২৯৫ কি.মি. দক্ষিণ- দক্ষিণপশ্চিমে, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ১২২০ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণপশ্চিমে, মোংলা সমুদ্রবন্দর থেকে ১২৬৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণপশ্চিমে এবং পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ১২২৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণপশ্চিমে অবস্থান করছিল। এটি আরও ঘণীভূত হয়ে শুক্রবার সকাল পর্যন্ত উত্তর-উত্তরপশ্চিম দিকে এবং পরবর্তীতে দিক পরিবর্তন করে ক্রমান্বয়ে উত্তর-উত্তরপূর্ব দিকে অগ্রসর হতে পারে।
এদিকে ঘূর্ণিঝড় ‘মোখা’ মোকাবিলায় প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি এবং সতর্কতামূলক পদক্ষেপ নেওয়াসহ ১০ দফা নির্দেশনা দিয়েছে স্বাস্থ্য বিভাগ।
১০ নির্দেশনা:
১. জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে পর্যাপ্ত মেডিকেল টিম প্রস্তুত রাখতে হবে।
২. খাবার স্যালাইনসহ জরুরি প্রতিরোধ ও প্রতিষেধক ওষুধ ও উপকরণ উপকূলবর্তী জেলায় পর্যাপ্ত মজুত রাখতে হবে।
৩. প্রয়োজনীয় সংখ্যক পানি বিশুদ্ধকরণ ট্যাবলেট এবং সাপে কাপড় দেওয়া রোগীর জন্য প্রয়োজনীয় সংখ্যক অ্যান্টিভেনম মজুত রাখতে হবে।
৪. উপকূলবর্তী এলাকায় মাঠ কর্মীদের (স্বাস্থ্য পরিদর্শক, সহকারী স্বাস্থ্য পরিদর্শক, স্বাস্থ্য সহকারীসহ অন্য) মাধ্যমে উপদ্রুত অঞ্চলে নিয়মিত পরিদর্শন এবং সচেতনতামূলক কার্যক্রম গ্রহণ করতে হবে।
৫. কমিউনিটি ক্লিনিক, ইউনিয়ন স্বাস্থ্যকেন্দ্র ও উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সগুলোতে সার্বক্ষণিক চিকিৎসাসেবা নিশ্চিত করতে হবে।
৬. যেকোনো দুর্যোগ মোকাবিলায় প্রয়োজনে কর্মকর্তা/কর্মচারীর নৈমিত্তিক ছুটি বাতিলসহ প্রতিষ্ঠান প্রধান ও চিকিৎসকদের কর্মস্থলে অবস্থান নিশ্চিত করতে হবে।
৭. স্বাস্থ্য প্রতিষ্ঠানগুলোর অ্যাম্বুলেন্সগুলো প্রয়োজনীয় জ্বালানিসহ প্রস্তুত রাখতে হবে।
৮. যেসব স্বাস্থ্য প্রতিষ্ঠানে ওয়াটার অ্যাম্বুলেন্স সচল আছে, সেসব ওয়াটার অ্যাম্বুলেন্স মেডিকেল টিম এবং প্রয়োজনীয় জ্বালানিসহ প্রস্তুত রাখতে হবে।
৯. নিয়ন্ত্রণ কক্ষ চালু রাখতে হবে।
১০. সম্ভাব্য ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলায় জনপ্রতিনিধি ও প্রশাসনের সঙ্গে সমন্বয় করে প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি ও সতর্কতামূলক কার্যক্রম গ্রহণ করা যেতে পারে।
Leave a Reply