মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ ১৩টি দেশে ইরানের চেয়ে সৌদি নেতাদের প্রতি বেশি সমর্থন রয়েছে। মার্কিন অ্যানালাইটিক্যাল প্রতিষ্ঠান গ্যালাপের এক জরিপে এই তথ্য পাওয়া গেছে।
মরক্কো থেকে পাকিস্তান পর্যন্ত দেশগুলোতে ২০২২ সালে সৌদি আরবের নেতৃত্ব ইরানের নেতৃত্বের চেয়ে অনেক বেশি অনুমোদনসূচক ছিল (যথাক্রমে ৩৯ শতাংশ বনাম ১৪ শতাংশ)।
এসব দেশ হচ্ছে কুয়েত, লিবিয়া, জর্ডান, পাকিস্তান, মরক্কো, ইরাক, আলজেরিয়া, তিউনিসিয়া, লেবানন, আফগানিস্তান, ইয়েমেন, ফিলিস্তিনি ভূখণ্ড ও তুরস্ক।
একমাত্র পাকিস্তানেই ইরানের নেতৃত্ব অনুমোদিত হয়েছে ৫০ ভাগ (অবশ্য সৌদি নেতৃত্বের প্রতি সমর্থন ছিল ৮৩ ভাগ)। অন্য কোনো দেশেই ইরানের প্রতি এত সমর্থন নেই। বাকি ১২ দেশে ইরানি নেতৃত্বের প্রতি আস্থা খুবই কম। উল্লেখ্য, বিশ্বে ইরানের পর পাকিস্তানই হলো দ্বিতীয় বৃহত্তম শিয়া অধ্যুষিত দেশ।
ইরানের ব্যাপক প্রভাব রয়েছে- এমন কয়েকটি দেশেও জনসাধারণের মধ্যে ইরানি নেতৃত্বের ব্যাপারে নেতিবাচক ধারণা রয়েছে : এসব দেশ হচ্ছে ইরাক (৮৬ ভাগ), ইয়েমেন (৮০ ভাগ) ও লেবানন (৭৩ ভাগ)।
গ্যালাপ আরো জানিয়েছে, লেবাননের শিয়া জনসংখ্যা ইরানকে তুলনামূলক ইরানের প্রতি সমর্থন দিলেও (অনুমোদন ৫৮ ভাগ, অননুমোদন ৩৯ ভাগ) ইরাকের শিয়া মুসলিমরা (যথাক্রমে ১৭ ভাগ, ৮৩ ভাগ) তা করেনি।
তুরস্কের মনোভাব বেশ উল্লেখযোগ্য। ইরান ও সৌদি আরব- উভয় দেশের প্রতি তাদের প্রবল নেতিবাচক ধারণা রয়েছে। তারপরও সৌদি নেতৃত্ব মাত্র ৩ পয়েন্ট এগিয়ে রয়েছে। ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডে ব্যবধানটি ১২ পয়েন্ট। ফিলিস্তিনিদের মধ্যে চীন, রাশিয়া, যুক্তরাষ্টট্রসহ বিদেশী সব শক্তির বিরুদ্ধেই নেতিবাচক ধারণা রয়েছে।
গ্যালপের প্রতিবেদনে উপসংহার টানা হয়েছে এই বলে যে ‘বিশ্বের বৃহত্তম তেল উৎপাদনকারী, দুই পবিত্র মসজিদের হেফাজতকারী সৌদি আরব এখনো মুসলিম দুনিয়ার নেতা হিসেবে বিবেচিত হয়।’
এতে আরো বলা হয়েছে, ‘লাগোয়া ও আশপাশের অঞ্চলগুলোতে তুলনামূলক জনপ্রিয় হওয়ায় সৌদি আরবকে সহজেই খারিজ করে দেয়া যায় না।’
সূত্র : মিডল ইস্ট মনিটর
Leave a Reply