টানা ৯ ঘণ্টা জেরার পর সিবিআই দফতর ছাড়লেন অরবিন্দ কেজরিওয়াল। রোববার স্থানীয় সময় সকাল ১১টা নাগাদ গাড়ি করে নিজের বাসভবন থেকে সিবিআই দফতরে পৌঁছান তিনি। সাথে ছিলেন পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী ভগবন্ত মান।
গত শুক্রবার আবগারি দুর্নীতি মামলায় দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি দিয়ে তলব করেছিল সিবিআই। সেই সূত্রে রোববারের জেরা। কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থার তলবের পর থেকেই কেজরির গ্রেফতারির আশঙ্কা করছিল দল আম আদমি পার্টি (আপ)। এদিন তেমন কিছু না ঘটলেও গেরুয়া শিবিরের বিরুদ্ধে প্রতিবাদে শামিল হয়েছে আপ।
রোববার দলীয় দফতরে সাংবাদিক বৈঠকেই বিজেপিকে কড়া ভাষায় আক্রমণ করেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী। কেজরি বলেন, ”বিজেপি এখন ক্ষমতার নেশায় মগ্ন। ওরা কাউকে কেয়ার করে না। সেটা রাজনীতিবিদ হোক, বিচারকরা হোক বা সংবাদমাধ্যম। বিজেপি চাইলে আজ আমাকে গ্রেফতারও করতে পারে সিবিআই। যারা এদের কথা শোনে না, তাদের সবাইকে এরা জেলে পাঠাতে পারে। ওরা নির্দোষদেরও ছাড়ে না।”
দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্য, “ওরা বলছে আমি নাকি দুর্নীতিগ্রস্ত। আমি ট্যাক্স কমিশনার ছিলাম। দুর্নীতিগ্রস্ত হলে কোটি কোটি টাকা রোজগার করতে পারতাম। কেজরিওয়াল দুর্নীতিগ্রস্ত হলে গোটা বিশ্বে কেউ সৎ নয়।”
এদিকে কেজরি সিবিআই দফতরে থাকাকালীন রোববার বিকেলে আপের তরফ থেকে জরুরি বৈঠক ডাকা হয়। বৈঠকে ছিলেন দলের জাতীয় সম্পাদক পঙ্কজ গুপ্ত, দিল্লির মেয়র শেলী ওবেরয়, ডেপুটি মেয়র আলে ইকবাল এবং অন্যান্য দলীয় পদাধিকারীরা। বৈঠকে নেতৃত্ব দেন আপের দিল্লির আহ্বায়ক গোপাল রাই। দলের শীর্ষ নেতার গ্রেফতারের আশঙ্কাতেই জরুরি বৈঠক ছিল বলে জানা গেছে। যদিও একটানা ৯ ঘণ্টা জেরার পর দিল্লির লোধি রোডের সিবিআই সদর দফতর থেকে বেরিয়ে আসেন কেজরি।
সিবিআই থেকে বেরিয়ে দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “৫৬টি প্রশ্ন করা হয়েছে আমাকে। জবাব দিয়েছি। আমার লুকোনোর কিছু নেই।”
তিনি আরো বলেন, “আম আদমি পার্টিকে বদনাম করার চেষ্টা হচ্ছে। গোটা কেসটাই মিথ্যে। সিবিআইয়ের কাছে কোনো প্রমাণ নেই।”
এদিকে আরেক আপ শীর্ষ নেতা রাঘব চাড্ডা হুঙ্কার দিয়েছেন, “আমরা বিজেপিকে বার্তা দিতে চাই যে আমাদের দল দুর্নীতিবিরোধী আন্দোলন থেকে তৈরি হয়েছিল। আমরা সিবিআই, ইডিকে ভয় পাই না। আসলে বিজেপি কেজরিওয়াল ফোবিয়াতে ভুগছে। সেই কারণে এমন কাণ্ড করছে।”
এদিকে দিল্লি বিধানসভার সচিব রাজ কুমার জানিয়েছেন, বিজেপি সরকারের অঙ্গুলি হেলনে বিরোধীদের বিরুদ্ধে কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থাগুলোর অন্যায় ব্যবহার নিয়ে আলোচনা হবে বিধানসভায়। সূত্র : সংবাদ প্রতিদিন
Leave a Reply