জনসংখ্যাবিদরা নিশ্চিত নন ঠিক কখন ভারত বিশ্বের সবচেয়ে জনবহুল দেশে পরিণত হবে, কারণ তারা তাদের সাধ্যমতো সেরা অনুমানের ওপর নির্ভর করছে। তবে তারা জানে, এখন পর্যন্ত এটি যদি না ঘটে থাকে, শিগগিরই এটি ঘটতে চলেছে।
জাতিসঙ্ঘ জনসংখ্যার তথ্য রাখা শুরু করার পর থেকে অন্তত ১৯৫০ সাল থেকে চীনে বিশ্বের সবচেয়ে বেশি জনসংখ্যা রয়েছে। চীন এবং ভারত উভয়েরই ১৪০ কোটি বেশি জনসংখ্যা এবং দেশ দুটির মোট জনসংখ্যা বিশ্বের ৮০০ কোটি মানুষের এক-তৃতীয়াংশের বেশি।
বিভিন্ন সমীক্ষা, সেইসাথে জন্ম ও মৃত্যুর রেকর্ড থেকে গাণিতিক গণনায় অনুমান করা হচ্ছে যে- এপ্রিলের মাঝামাঝি সময়ে ভারত চীনকে ছাড়িয়ে যাবে। কিন্তু জনসংখ্যাবিদরা সতর্ক করেছেন যে- এ সম্পর্কে সংশয় রাখা উচিত, কারণ সংখ্যাগুলো অস্পষ্ট এবং তা সংশোধন করা যেতে পারে।
সাত বছর আগে সরকারের এক-সন্তান নীতি থেকে পিছিয়ে যাওয়ার এবং মাত্র দুই বছর আগে দম্পতিরা তিনটি সন্তান নিতে পারবে ঘোষণা করার পরেও চীনের বয়স্ক জনসংখ্যা ক্রমাগতভাবে বৃদ্ধি পাচ্ছে।
গত তিন দশকে ভারতে অল্প বয়সী জনসংখ্যা, প্রজনন হার বেড়েছে এবং শিশুমৃত্যুর হার কমেছে।
ওয়াশিংটনের পপুলেশন রেফারেন্স ব্যুরোর ডেমগ্রাফিক রিসার্চের টেকনিক্যাল ডিরেক্টর তোশিকো কানেদা বলেন, একটি দেশ একবার স্বল্প উর্বরতার স্তরে গেলে জনসংখ্যা বৃদ্ধি পুনরুদ্ধার প্রায়শই কঠিন হয়, এমনকি আরো শিশুর জন্মকে উৎসাহিত করার সরকারি নীতির পরিবর্তনের পরেও।
সূত্র : ভয়েস অব আমেরিকা
Leave a Reply