ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে শিক্ষার্থীকে ওপরে স্থানীয়দের হামলার ঘটনায় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (বিশেষ শাখা) ফরহাদ হোসেনের আশ্বাসে সড়ক থেকে অবরোধ তুলে নিয়েছে আন্দোলনকারীরা। এছাড়াও ভিসির আশ্বাসে আন্দোলন স্থগিত করেন তারা।
সোমবার (১৩ মার্চ) রাত ১০টার দিকে এএসপির আশ্বাসে সড়ক থেকে অবরোধ তুলে নিয়ে এ ঘটনায় ভিসি চুপ থাকার প্রতিবাদে ও সঠিক বিচারের দাবিতে ভিসির বাসভবন ঘেরাও করে বিক্ষোভ মিছিল শুরু করেন আন্দোলনকারীরা। এ সময় তারা ভিসির বাসভবনের প্রধান ফটক ভাঙচুর করতে থাকেন। পরবর্তীতে ভিসি আন্দোলনকারীদের মধ্য থেকে আট থেকে ১০ জনকে ডেকে নিয়ে আলোচনায় বসেন।
ভিসি তাদেরকে ক্যাম্পাসের অভ্যন্তরীণ চারটি গেটে নিরাপত্তা বৃদ্ধি ও অতিরিক্ত আনসার মোতায়ন ও অতিদ্রুত অভিযুক্তকে গ্রেফতারের ব্যবস্থা নেয়ার আশ্বাস দেন। আন্দোলনকারীরা ভিসির আশ্বাসে আন্দোলন স্থগিত করেন এবং আগামী তিন দিনের মধ্যে আসামিরা গ্রেফতার না হলে পুনরায় আন্দোলনের ঘোষণা দেন।
এ বিষয়ে কুষ্টিয়া জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ডিএসবি) ফরহাদ হোসেন বলেন, ‘আমরা বিষয়টি জানার সাথে সাথেই ঘটনাস্থলে এসেছি। সন্ধ্যা থেকে সড়ক বন্ধ থাকায় দীর্ঘ যানজট সৃষ্টি হয়েছে। তাই আমরা শিক্ষার্থীদের বোঝাতে সক্ষম হয়েছে এবং সড়ক ক্লিয়ার করেছি। আমরা ভুক্তভোগীর সাথে কথা বলে মামলা নিচ্ছি এবং অতি শিগগিরই অভিযুক্তদের গ্রেফতারের জন্য আমরা স্থানীয় সকল থানায় বার্তা পাঠিয়ে দিয়েছি।’
উল্লেখ্য, সোমবার (১৩ মার্চ) বিকেল সাড়ে পাঁচটায় ঝিনাইদহের শৈলকুপা উপজেলা ক্যাম্পাস-সংলগ্ন শেখপাড়া বাজারে সন্ধ্যায় তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা করে স্থানীয়রা। স্থানীয়দের হামলায় ম্যানেজমেন্ট বিভাগের শিক্ষার্থী জিশাদ ও ফিন্যান্স অ্যান্ড ব্যাংকিং বিভাগের শিক্ষার্থী সুপ্ত নামে দুই শিক্ষার্থী আহত হন। মারধরের শিকার হওয়া আহত দু‘জনকে চিকিৎসার জন্য কুষ্টিয়া মেডিক্যাল কলেজে নেয়া হয়। এ ঘটনায় শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত ও বিশ্ববিদ্যালয়ে বহিরাগতদের অনুপ্রবেশ বন্ধ করা এবং হামলার বিচার চেয়ে তিন দফা দাবিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের সামনে আগুন জ্বালিয়ে মহাসড়ক অবরোধ করে আন্দোলন করে শিক্ষার্থীরা।
জানা গেছে, বিশ্ববিদ্যালয়ের মফিজ লেক এলাকা থেকে আকাশ নামের এক ব্যক্তির সাথে মারধরের শিকার হওয়া শিক্ষার্থীর কথা কাটাকাটি হয়। ওই সময় বহিরাগত ওই ব্যক্তি শিক্ষার্থীদের ক্যাম্পাসে বাইরে পেলে দেখে নেবার হুমকি দেন। এ ঘটনার পরে ওই শিক্ষার্থী পাশের শেখপাড়া বাজারে মোটরসাইকেলে তেল আনতে গেলে তাকে মারধর করেন আকাশসহ কয়েকজন বহিরাগত।
Leave a Reply