কিছু দিন আগেও যাকে স্কোয়াডে রাখায় প্রশ্নবিদ্ধ হতে হতো নির্বাচকদের, খুঁজে বের করা হতো তাদের মাঝে কোনো সম্পর্ক আছে কিনা; করা হতো নানাভাবে বিদ্রুপ-ব্যঙ্গ, সেই নাজমুল হোসেন শান্তই এখন বাংলাদেশ ক্রিকেটের অন্যতম উজ্জ্বল নক্ষত্র। যে নক্ষত্র নজর কেড়েছে সাবেক ইংলিশ ক্রিকেটার নাসের হুসেইনের।
জীবনের কালো সময়টা ধীরে ধীরে পেছনে ফেলতে শুরু করেছেন নাজমুল হোসেন শান্ত। দিতে শুরু করেছেন আস্থার প্রতিদান, কেন তার প্রতি বিসিবি কিংবা কোচদের এত অগাধ বিশ্বাস, তারই প্রতিফলন দেখতে শুরু করেছে ক্রিকেট বিশ্ব। গত টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে শুরু, ছিলেন দলের সংগ্রাহক। এরপর বিপিএলের টুর্নামেন্ট সেরা হয়ে ইংল্যান্ড সিরিজ, ক্রমে ক্রমে দুর্দান্ত-দুরন্ত হয়ে উঠছেন এই ব্যাটার।
ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজে জোড়া অর্ধশতকের পর প্রথম টি-টোয়েন্টিতে ম্যাচ সেরা হতে খেলেছিলেন ৫১ রানের ইনিংস। যার ধারাবাহিকতা ছিল দ্বিতীয় ম্যাচেও, মন্থর উইকেটে দলের বিপর্যয়ে একপ্রান্ত আগলে রেখে ৪৬ হার না মানা ইনিংস খেলে দলের জয় নিশ্চিত করেন এই ব্যাটার। ইংল্যান্ডের এমন বিশ্বমানের বোলারদের বিপরীতে শান্তর এমন ধারাবাহিক পারফরম্যান্স মনে ধরেছে নাসেরের।
তাকে প্রশংসায় ভাসিয়ে ইংল্যান্ডের সাবেক এই অধিনায়ক দাবি করেন, শান্ত হতে যাচ্ছে বাংলাদেশের ক্রিকেটের ভবিষ্যৎ তারকা। সেই সাথে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজ জেতায় বাংলাদেশ দলকে অভিনন্দন জানিয়ে নাসের বলেন, ‘ফেয়ার প্লে টু বাংলাদেশ। বিশ্ব চ্যাম্পিয়নদের বিরুদ্ধে ২-০ তে এগিয়ে। বাংলাদেশ দারুণ ক্রিকেট খেলেছে। শান্ত তারকা হতে চলেছে। তাদের ভালো কিছু ক্রিকেটার খুঁজে বের করতে হবে। এটি তাদের জন্য বড় জয়।’
বিপরীতে বাংলাদেশকে ইংল্যান্ড দল দুর্বল ভেবেছে বলেই এমন বিপর্যয় দেখা দিয়েছে বলে দাবি করেন নাসের। তিনি ইংল্যান্ড দলকে পরামর্শ দেন সবাইকে এক চোখে দেখার। নাসের বলেন, আমরা ইংল্যান্ড ক্রিকেট দল। এটি আমাদের গুরুত্বপূর্ণ সফর। এটা বাংলাদেশের জন্য কী ছিল সেটা আমরা দেখেছি। আমাদের সবাইকে একই চোখে দেখতে হবে। তবে আমাদের স্কোয়াড ভারসাম্যপূর্ণ ছিল না।’
Leave a Reply