ব্যয়সঙ্কোচের পথে আরো এক ধাপ এগোল গুগল। কর্মী ছাঁটাইয়ের পর এবার জায়গাতেও কাটছাঁট করতে চলেছে এই বহুজাতিক সংস্থা। এবার থেকে কর্মীদের কাজের জায়গা ভাগাভাগি করে নিতে হবে, অনুরোধ করেছে সংস্থা। এর ফলে সব কর্মীর কাজের জায়গায় একজন করে ‘সাথী’ থাকবেন। তার সাথেই ভাগ করে নিতে হবে ডেস্ক। এর ফলে গুগলের দফতরে অনেকটা জায়গা বাঁচবে।
যুক্তরাষ্ট্রের গুগলের বড় দফতরগুলোতেই এই নিয়ম চালু হচ্ছে। কার্কল্যান্ড, ওয়াশিংটন, নিউ ইয়র্ক, সান ফ্রান্সিসকো, সিয়াট্ল, সানিভেল, ক্যালিফোর্নিয়ায় গুগলের দফতরে এবার থেকে কর্মীদের একই জায়গায় ভাগাভাগি করে বসতে হবে। পরের ধাপে বেশ কিছু ভাড়া নেয়া অফিস ছেড়ে দেবে সংস্থা। ফলে তাদের খরচ বাঁচবে।
যেহেতু একই ডেস্কে বসে কাজ করতে হবে, তাই কর্মীদের ঘুরিয়ে-ফিরিয়ে (রোটেশন) অফিসে উপস্থিত থাকার কথা বলেছে গুগল। জানিয়েছে, কোনো কর্মী সোম ও বুধবার অফিসে এলে, তার জায়গায় যিনি বসবেন, তিনি যেন মঙ্গল ও বৃহস্পতিবার অফিসে আসেন। তা হলেই জায়গা নিয়ে সমস্যা থাকবে না। নির্ধারিত দিনের বাইরে অফিসে এলে কর্মীরা নিজেদের জায়গায় বসতে পারবেন না। সে ক্ষেত্রে তাকে অতিরিক্ত জায়গায় বসতে হবে।
সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, গুগল জানিয়েছে যে এখন এই ব্যবস্থাই চলবে। করোনা মহামারীর পর কর্মীরা অফিসে ফিরেছেন। নতুন এই পরিস্থিতিতে এভাবেই মানিয়ে গুছিয়ে চলতে হবে। সংস্থা এ-ও জানিয়েছে, কর্মীদের মধ্যে সমীক্ষা চালিয়েই এই ব্যবস্থা চালু করা হচ্ছে। এর ফলে কর্মীরা সপ্তাহে বেশ কয়েক দিন বাড়ি থেকে কাজেরও সুযোগ পাবেন। সংস্থার সূত্রে এ-ও জানা গেছে, কর্মীদের জায়গা বরাদ্দের জন্য নিয়োগ করা হবে একজন ভাইস প্রেসিডেন্ট বা ডিরেক্টর।
সম্প্রতি একধাক্কায় ১২ হাজার কর্মীকে ছাঁটাই করেছে গুগল। কর্মীদের ছাঁটাইয়ের নোটিস পাঠানো হয়েছে। রাত ৩টার সময় হঠাৎই অ্যাকাউন্ট বিকল করে দিয়ে চাকরি থেকে ছাঁটাই করে দেওয়া হয়েছে কর্মীদের। গুগলের সিইও সুন্দর পিচাই অবশ্য জানিয়েছিলেন, এই কঠিন পরিস্থিতিতেও কর্মীদের পাশে থাকবে সংস্থা। কিন্তু আদতে তা হচ্ছে না বলেই আশঙ্কা কর্মীমহলে। ছাঁটাইয়ের পর গুগল কর্মীদের প্রাপ্য বোনাসেও কোপ পড়েছে। তবে, নিম্ন পর্যায়ের কর্মীদের উপর এর কোনো প্রভাব পড়বে না বলে জানানো হয়েছিল।
সূত্র : আনন্দবাজার পত্রিকা
Leave a Reply