চ্যাম্পিয়নস লিগে জায়গা হয়নি, এবার ইউরোপা লিগেও ব্যর্থ বার্সালোনা। ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের কাছে হেরে শেষ ১৬-তে উঠা হলো না দলটির, প্লে অফেই শেষ তাদের শিরোপা মিশন। প্রথম লিগে ২-২ গোলে সমতার পর এবার ওল্ড ট্র্যাফোর্ডে দ্বিতীয় লিগে ম্যানইউয়ের কাছে ২-১ গোলে হেরে বিদায় ঘণ্টা বেজে গেছে বার্সালোনার।
আক্রমণ-পাল্টা আক্রমণে শুরু থেকেই জমে উঠে ম্যাচ। তৃতীয় মিনিটেই ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডকে হতাশ করেন বার্সা গোলরক্ষক, ব্রুনো ফার্নান্দেজের মাপা শট মার্ক আন্দ্রেটের স্টেগেন রুখে দেন। সুযোগ এসেছিল বার্সারও। তবে রাফিনহার শট অনিশ্চিত হয়।
তবে ১৮তম মিনিটেই কাঙ্ক্ষিত গোলের দেখা পেয়ে যায় বার্সালোনা। বিতর্কিত পেনাল্টি থেকে গোল করেন লেভানডফস্কি। এর আগেই অবশ্য রেফারির দেয়া পেনাল্টি সিদ্ধান্তকে কেন্দ্র করে উত্তাপ ছড়ায় মাঠে। তবে রেফারি নিজের সিদ্ধান্তে অটল থাকলে স্পট কিক থেকে গোল করে দলকে ১-০ গোলে এগিয়ে দেন লেভানডফস্কি। প্রথমার্ধে আর গোল হয়নি।
বিরতি থেকে ফিরেই স্বরূপে জ্বলে উঠে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড। নিজেদের খুঁজে পায় এরিক টেন হাগের শিষ্যরা। গোলও পেয়ে যায় তারা দুই মিনিটের মাঝেই, ৪৭ মিনিটে স্বাগতিকদের সমতায় ফেরান ফ্রেদ। স্কোরবোর্ড তখন ১-১।
এরই মাঝে ৫৯ মিনিটে ফ্রেঙ্কি ডি ইয়ংকে ফাউল করাকে কেন্দ্র করে আবারো উত্তপ্ত হয়ে ওঠে পরিস্থিতি। ইউনাইটেডের ফার্নান্দেজ আর বার্সার সের্হি রবার্তোকে হলুদ কার্ড দেখিয়ে সেই পরিস্থিতি শান্ত করেন রেফারি তুরপিন।
৬৩ মিনিটে দ্বিতীয় গোল পেয়েই যেত বার্সা, বাল্দের চমৎকার ক্রসে জুল কুন্দের হেড কোনোমতে কর্নারের বিনিময়ে ঠেকান দে গেয়া। বার্সা না পেলেও দ্বিতীয় গোল পেয়ে যান ম্যানই ৭৩তম মিনিটে এগিয়ে যায় আন্তোনিওর গোলে। লুকশ থেকে ফার্নান্দেজ, এরপর আলেহান্দ্রো গারনাচোর হয়ে ফ্রেদ; সেখান থেকে বল যায় ব্রাজিলিয়ান আন্তোনিওর কাছে। অতঃপর কোণাকোণি শটে নিখুঁত ফিনিশিং। ২-১ গোলে এগিয়ে যায় ম্যানইউ।
পিছিয়ে পড়ার পর আক্রমণে গতি বাড়ায় বার্সালোনা। মরিয়া হয়ে ওঠে তারা। সুযোগও তৈরি করে বেশ কিছু। তবে কাজের কাজ হয়নি। বিশেষ করে যোগ করা সময়ে সমতা প্রায় এনেছিলেন ডি ইয়ং। তবে গোললাইনের কাছ থেকে বল ক্লিয়ার করেন রাফায়েল ভারান। ফলে ২-১ গোলে হার মেনে নিতে হয় বার্সাকে। বিপরীতে দুই লিগ মিলিয়ে ৪-৩ গোলে এগিয়ে থেকে শেষ ১৬ নিশ্চিত করে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড।
Leave a Reply