ভয়াবহ দুর্ভিক্ষের মুখে দাঁড়িয়ে আছে উত্তর কোরিয়া। তা সত্ত্বেও অন্যান্য দেশ থেকে সাহায্য নিতে রাজি নয় কিম জং উনের দেশ। সেদেশের তরফে সাফ জানানো হয়েছে, বিদেশী সাহায্য নেয়ার মানে বিষ মাখানো লজেন্স খাওয়া। তাই খাদ্যসামগ্রীর জন্য অন্যান্য দেশের ওপর নির্ভর করা যায় না।
উত্তর কোরিয়ার সরকারি সংবাদপত্র রোদং সিমুনে লেখা হয়েছে, ‘খাদ্য সঙ্কটের মোকাবেলা করতে বিদেশী সাহায্যের ওপর নির্ভর করা যায় না। কারণ বিদেশের খাদ্য সামগ্রী আসলে বিষ মাখানো লজেন্সের মতো। তাই অন্য দেশের ওপর নির্ভর না করে নিজেদেরই আত্মনির্ভর হতে হবে।’
সংবাদপত্রেই আরো বলা হয়েছে, মানবিক সাহায্য পাঠিয়ে আসলে ফাঁদ পাততে চলেছে সাম্রাজ্যবাদী শক্তিগুলো। আর্থিক সাহায্য পাঠানোর নামে দেশকে লুট করতে চাইছে বিদেশী রাষ্ট্রগুলো। তাছাড়াও দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়গুলোতেও হস্তক্ষেপ করার পরিকল্পনা রয়েছে সাহায্যকারী রাষ্ট্রগুলোর। ২০২১ সালে ওয়ার্ল্ড ফুড প্রোগ্রামের তরফে জানানো হয়েছিল, উত্তর কোরিয়ার মোট জনসংখ্যার ৪০ শতাংশই যথাযথ পুষ্টি পান না। গত এক বছরে এই সংখ্যাটা বাড়তে পারে বলেই অনুমান বিশেষজ্ঞদের।
তবে এই পরিসংখ্যান নিয়ে একেবারেই চিন্তিত নয় দেশের শাসক কিম। দেশের সামরিক শক্তি আরো বাড়াতে বদ্ধপরিকর তিনি। সেই জন্যই একাধিক পারমাণবিক অস্ত্র কিনতে চাইছেন। অন্যদিকে, একজন সেনাসদস্যের দৈনিক আহারের বরাদ্দ এক ধাক্কায় অনেকটা কমিয়ে দিয়েছে কিমের প্রশাসন। সব মিলিয়ে উত্তর কোরিয়ার খাদ্যসুরক্ষা নিয়ে প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে।
সূত্র : সংবাদ প্রতিদিন
Leave a Reply