যুক্তরাষ্ট্রের উদ্বেগ এবং ইউক্রেনের নিন্দা জানানোর পরও, শুক্রবার দক্ষিণ আফ্রিকার পূর্ব উপকূলের পানিসীমায় দক্ষিণ আফ্রিকা, চীন ও রাশিয়ার যৌথ নৌ-মহড়ার চলছে।
সমালোচকরা বলছেন, ১০ দিনের এই সামরিক মহড়া দক্ষিণ আফ্রিকার তেমন উপকারে আসবে না; বরং এটি ইউক্রেনে চলমান হামলার এক বছর পূর্তি উপলক্ষে, মস্কোর জন্য একটি প্রচারণা হিসেবে কাজ করবে।
সমালোচকরা বলছেন, ফ্রিগেট-এ দক্ষিণ আফ্রিকার সেনাদের উপস্থিতি, ইউক্রেনে রুশ আগ্রাসনের বর্ষপূর্তির প্রাক্কালে মস্কোর জন্য একটি সাফল্য এবং স্বাধীনতা সংগ্রামী নেলসন ম্যান্ডেলার দেশের জন্য লজ্জাজনক বলে প্রতীয়মান হবে।
দক্ষিণ আফ্রিকায় নিযুক্ত ইউক্রেনের রাষ্ট্রদূত লিউবভ আব্রাভিটোভা বলেন যে তিনি এই মহড়ার নিন্দা জানাচ্ছেন।
দক্ষিণ আফ্রিকা বারবার ইউক্রেনের সংঘাত বিষয়ে তার নিরপেক্ষ অবস্থানের কথা বলছে এবং রাশিয়ার সাথে দেশটির সম্পর্ক রাখার অধিকার রয়েছে বলে উল্লেখ করছে। দক্ষিণ আফ্রিকা তার সহযোগী ব্রাজিল, ভারত ও চীনের সাথে ব্রিকস বাণিজ্য ব্লকের সদস্য।
ডেমোক্র্যাটিক অ্যালায়েন্স-এর ছায়া মন্ত্রিসভার প্রতিরক্ষামন্ত্রী কোবুস মারাইস বলেছেন, মোসি-টু নামের এই মহড়া দক্ষিণ আফ্রিকার ক্ষয়িষ্ণু নৌবাহিনীর কোনো উপকারে আসবে না। বরং এই তহবিল অন্য কোনো ভালো খাতে ব্যয় করা যেত।
দক্ষিণ আফ্রিকার প্রতিরক্ষা বিভাগ বলেছে, এটি রাশিয়ার সাথে প্রথম যুদ্ধ-মহড়া নয়। এর আগে, দক্ষিণ আফ্রিকা তার পশ্চিমা মিত্রদের সাথেও সামরিক মহড়ায় যোগ দিয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রে কর্মকর্তারা অনুমান করেছেন, গত ফেব্রুয়ারিতে রাশিয়ার আগ্রাসন শুরুর পর থেকে অসংখ্য ইউক্রেনের বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছে। এ ছাড়া, উভয় পক্ষের এক লাখ করে বা তারও বেশি সৈন্য নিহত হয়েছে।
মন্তব্যের জন্য অনুরোধ করা হলে, দক্ষিণ আফ্রিকায় রুশ দূতাবাস এবং দক্ষিণ আফ্রিকার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় কোনো জবাব দেয়নি।
Leave a Reply