করোনা ভাইরাস সন্দেহে হোম কোয়ারেনটাইনে থাকা এক ব্যক্তি চিকিৎসকদের না জানিয়ে গোপনে অন্যত্র চলে গেছেন। বরিশালের বাকেরগঞ্জে এ ঘটনা ঘটেছে। একই জেলার গৌরনদী উপজেলার এক ব্যক্তি হোম কোয়ারেনটাইনে থাকার কথা দিলেও মানছিলেন না। জোর করে তাকে মানতে বাধ্য করা হচ্ছে বলে জানা গেছে।
বরিশাল জেলা সিভিল সার্জন মনোয়ার হোসেন বলেন, বাকেরগঞ্জের একটি ছেলেকে হোম কোয়ারেনটাইনে রাখা হয়েছিল। তিনি আমাদের কিছু না জানিয়েই অন্যত্র চলে গেছেন। আমরা তার মায়ের সঙ্গে ফোনে কথা বলেছি। তিনি আমাদের বলেছেন, ছেলে পটুয়াখালীর কোনো এক জায়গায় রয়েছে।
তবে তা সঠিন কিনা তা নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেছেন চিকিৎসক। পুলিশ প্রশাসনের সহায়তায় ওই ব্যক্তিকে খুঁজে বের করার চেষ্টা চলছে।
তিনি আরও জানান, গৌরনদীর চারজনকে হোম কোয়ারেনটাইনে রাখা হয়েছিল। তারা সম্প্রতি ইতালি থেকে বাংলাদেশে আসেন। তাদের মধ্যে একজন হোম কোয়ারেনটাইনের নিয়ম মানছিলেন না। খবর পেয়ে প্রশাসন ও পরিবারের সহায়তায় তাকে মানতে বাধ্য করা হয়।
বরিশাল বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক বাসুদেব কুমার দাস বলেন, করোনা ভাইরাস থেকে রক্ষায় পূর্বসতর্কতার অংশ হিসেবে বিদেশ ভ্রমণ করে আসা বরিশাল, ঝালকাঠি এবং পটুয়াখালী জেলার মোট ২০ জনকে নিজ নিজ বাড়িতে হোম কোরেনটাইনে রাখা হয়েছে। তবে এদের কারও শরীরেই করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ খুঁজে পাওয়া যায়নি।
এ ছাড়া পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় পায়রা তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রে কর্মরত চার চীনা নাগরিককে হোম কোয়ারেনটাইনে রাখা হয়েছে। আগৈলঝাড়া উপজেলায় একজন, মুলাদী উপজেলায় একজন, হিজলা উপজেলায় দুজন ও বাকেরগঞ্জ উপজেলায় তিনজনকে হোম কোয়ারেনটাইনে রাখা হয়েছে। এদের মধ্যে হিজলার দুজনের একজন সৌদি আরব ও অপরজন সিঙ্গাপুর থেকে আসেন।
বাকেরগঞ্জ উপজেলার একজন মালয়েশিয়া থেকে এবং ঝালকাঠির চারজনের মধ্যে একজন নেদারল্যান্ডস, একজন সিঙ্গাপুর এবং দুজন সৌদি আরব থেকে ফেরেন। এ ছাড়া পটুয়াখালীর দুমকী উপজেলায় সিঙ্গাপুরফেরত একজনকে হোম কোয়ারেনটাইনে রাখা হয়েছে।
Leave a Reply