পাকিস্তানে এখন এক লিটার জিজেলের দাম হলো ২৬২ টাকা ৮০ পয়সা। আর এক লিটার পেট্রোলের দাম বেড়ে হলো লিটারপ্রতি ২৪৯ টাকা ৮০ পয়সা। দাম বেড়েছে কেরোসিন ও লাইট ডিজেল অয়েলেরও।
কেরোসিনের দাম হয়েছে লিটারপ্রতি ১৮৯ টাকা ৮৩ পয়সা এবং লাইট ডিজেল ১৮৭ টাকা। রোববার নতুন দাম চালু করার ১০ মিনিট আগে পাকিস্তানের অর্থমন্ত্রী এই সিদ্ধান্তের কথা জানান।
সংবাদপত্র ডন জানাচ্ছে, অর্থমন্ত্রী বলেছেন, আন্তর্জাতিক বাজারে তেলের দাম অনেকটা বেড়েছে, ডলারের তুলনায় রুপির দাম কমেছে। এই পরিস্থিতিতে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে তিনি যতটা কম সম্ভব দাম বাড়িয়েছেন। তার দাবি, গত চার মাসে পেট্রোল-ডিজেলের দাম বাড়েনি।
হঠাৎ কেন এই ঘোষণা করা হলো- তার ব্যাখ্যাও দিয়েছেন অর্থমন্ত্রী। তিনি বলেছেন, তেল ও গ্যাস সংক্রান্ত রেগুলেটরি কর্তৃপক্ষ ইতোমধ্যেই দাম বাড়ানোর সুপারিশ করেছে। তারপর কিছু জায়গায় পেট্রোল-ডিজেল মজুদ করে রাখার রিপোর্ট পাওয়া গেছে। তাই তাড়াতাড়ি দাম বাড়ানো হলো।
গত বৃহস্পতিবার পাকিস্তানের রুপির দাম ৩৪ পয়সা কমেছে। এর ফলে পাকিস্তান আরো কঠিন পরিস্থিতিতে পড়েছে।
ডন জানাচ্ছে, পেট্রোল-ডিজেলের দাম বাড়ার পরও সব জায়গায় তা পাওয়া যাচ্ছে তা নয়। যেহেতু পাকিস্তানের হাতে বিদেশী মুদ্রা কম আছে, তাই যথেষ্ট পরিমাণ তেল আমদানি করা যাচ্ছে না।
পাকিস্তানে এভাবে পেট্রোল ও ডিজেলের দাম বাড়ানোর ফলে দুটি রেকর্ড হয়েছে। পেট্রোলের দাম কখনো আগে এত বেশি ছিল না। আর একধাক্কায় পেট্রোল ও ডিজেলের দাম ৩৫ টাকা বাড়ানোও রেকর্ড। গত এপ্রিলে যখন এই সরকার দায়িত্ব নেয় তখন পেট্রোলের দাম ছিল লিটারপ্রতি ১৫০ টাকা ও ডিজেল ১৪৫ টাকা।
পাকিস্তানের পরিস্থিতি
পাকিস্তানের হাতে এখন দুই লাখ ৬৬ হাজার টন পেট্রোল মজুত আছে। যা দিয়ে ১২ দিনের চহিদা মিটবে। তবে পাঞ্জাব ও খাইবার পাখতুন খোয়ার অবস্থা সবচেয়ে খারাপ। সেখানে সাত ও পাঁচ দিনের পেট্রোল-ডিজেল মজুত আছে। গত কয়েক মাস ধরেই পাকিস্তানের তেল সংস্থা ও রেগুলেটরি অথরিটি জানাচ্ছিল, সেট্রাল ব্যাঙ্ক বিদেশী মুদ্রা খরচের ক্ষেত্রে রীতিমতো টানাটানি করায় তারা উপযুক্ত পরিমাণে তেল কিনতে পারছেন না। ফলে দেশে তেল-সঙ্কট থাকবে।
Leave a Reply