করোনাভাইরাস প্রতিরোধে ইউরোপীয় ইউনিয়নের বৃহৎ দুই দেশ স্পেন ও ফ্রান্সও ইতালির পথ অনুসরণ করে জরুরি বিধিনিষেধ আরোপ করলো। স্পেনে জরুরী কেনাকাটা, ঔষধ ক্রয় কিংবা কাজ ছাড়া মানুষজনের ঘরের বাইরে বের হওয়ার উপর নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয়েছে।
ইতালির পর ইউরোপের মধ্যে স্পেনেই সবচেয়ে বেশি মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। দেশটিতে মৃতের সংখ্যা ১৯১ জন। ফ্রান্সে মারা গেছে ৯১ জন। সেখানে ক্যাফে, রেস্তোরাঁ, সিনেমা হল এবং বেশিরভাগ দোকানপাটই এখন বন্ধ।
সবচেয়ে বেশি মৃত্যুর ঘটনা ঘটা ইতালিতে গত সোমবার থেকে লকডাউন চলছে। দেশটিতে মৃতের সংখ্যা ১ হাজার ৪৪০ জন।
স্পেনে যে ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে
৪ কোটি ৬৭ লাখ জনসংখ্যার দেশ স্পেনে ৬ হাজার ৩০০ জন করোনাভাইরাস আক্রান্ত রয়েছে। শনিবার রাতে প্রধানমন্ত্রী পেদ্রো স্যানচেজের স্ত্রী বেগোনা গোমেজকে করোনাভাইরাস আক্রান্ত হিসেবে শনাক্ত করা হয়।
শুক্রবার সন্ধ্যার পর থেকেই ১ হাজার ৮০০ জন আক্রান্তকে শনাক্ত করা হয়েছে দেশটিতে। বেশিরভাগই রাজধানী মাদ্রিদে। দেশটিতে জরুরি অবস্থা জারি করা হয়েছে।
স্যানচেজ দেশটির অধিবাসীদের অতি জরুরি কাজ ছাড়া ঘরের বাইরে বের হতে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছেন। সব জাদুঘর, সাংস্কৃতিক কেন্দ্র এবং ক্রীড়াঙ্গন বন্ধ থাকবে। রেস্তোরা এবং ক্যাফে শুধুমাত্র হোম ডেলিভারি করতে পারবে।
তবে ব্যাংক ও পেট্রোল স্টেশনের মতো জরুরি সেবা সংস্থা খোলা থাকবে। দেশজুড়ে স্কুলগুলো আগেই বন্ধ করা হয়েছে। জরুরি অবস্থা দুই সপ্তাহ জারি থাকবে। তবে প্রয়োজন হলে এবং পার্লামেন্ট অনুমোদন করলে বাড়বে।
ফ্রান্স যা করছে
৬ কোটি ৩৫ লাখ মানুষের দেশ ফ্রান্সে ৪ হাজার ৪০০ রোগী শনাক্ত করা হয়েছে। শনিবার গ্রিনিচ মান সময় রাত এগারোটায় শুরু হওয়া নিষেধাজ্ঞার আওতায় থাকছে রেস্তোরাঁ, ক্যাফে, সিনেমা হল এবং নাইট ক্লাব। কম জরুরি সব ব্যবসা প্রতিষ্ঠানও রয়েছে বন্ধের আওতায়।
খাবারের দোকান, ঔষধের দোকান, ব্যাংক, তামাকের দোকান ও পেট্রোল স্টেশন থাকবে নিষেধাজ্ঞার বাইরে, বলেন প্রধানমন্ত্রী এদুয়ার্দ ফিলিপ্পে।
রোববারের স্থানীয় নির্বাচন বাতিল হয়েছে। ধর্মীয় ভবনগুলো খোলা থাকবে, তবে সমাগম এবং অনুষ্ঠানসমূহ বাতিল। পরবর্তী নির্দেশ পর্যন্ত স্কুল বন্ধ থাকবে। বিবিসি।
Leave a Reply