এবারের বিপিএলের অন্যতম আকর্ষণ সাকিব আল হাসান। ব্যাট হাতের বিধ্বংসী সাকিব নজর কেড়েছেন সবার। আলোচনায় তো তিনি বরাবরই থাকেন, বহুরূপীও তিনি আগে থেকেই। কিন্তু এমন রূপের সাকিবকে কেউ দেখেনি আগের আর। এখন পর্যন্ত বিপিএলের সর্বোচ্চ রান শিকারীও তিনি। ৫ ইনিংসে তার সংগ্রহ ২৭৫ রান, গড়টাও আকাশ সমান, ৯১.৬৭। স্ট্রাইক রেট ২০০ ছুঁই ছুঁই, ১৯৬.৪৩। সাথে দারুণ নেতৃত্ব আর বল হাতে মাত্র ৬ ইকোনমিতে ৩ উইকেট, সাকিবকে রেখেছে আসর সেরার দৌঁড়ে।
বিপিএল সেরা না হলেও বিপিএলে যে সাকিব আল হাসানই সেরা, তা সবারই জানা। কিন্তু নাসির হোসেন! এবারের বিপিএলের বড় বিস্ময় তিনি। ব্যাটে-বলে দারুণ ছন্দে আছেন, প্রায় ৯০ গড়ে ২৬৯ রান নিয়ে নাসির আছেন সাকিবের পরেই, দ্বিতীয় স্থানে। বল হাতেও আছেন সেরা চারে, এখন পর্যন্ত ৭ উইকেট শিকার করেছেন নাসির হোসেন। ফলে টুর্নামেন্ট সেরা দৌঁড়ে বলা যায় সাকিবের থেকেও এগিয়ে আছেন এই অলরাউন্ডার।
বিপিএলে বিদেশীদের মাঝে টপ পারফর্মার পাকিস্তানের ইফতেখার আহমেদ। অধিনায়ক সাকিবের সাথে পাল্লা দিয়েই ছুটছেন তিনি, ২৫৬ রান নিয়ে আছেন সেরা সংগ্রাহকের তালিকায় তৃতীয় স্থানে। একটা শতকও তুলে নিয়েছেন ইফতেখার, বরিশালের পাঁচ জয়ের তিনটিতেই পেয়েছেন ম্যাচ সেরার পুরস্কার। গড়টা অবিশ্বাস্য, ১২৮। স্ট্রাইকরেটটাও স্বপ্নসম, ১৮১.৫৬। বল হাতেও ঝুলিতে আছে ১ উইকেট। সব মিলিয়ে বলাই যায়, সাকিব-নাসিরের সাথে বেশ প্রতিদ্বন্দ্বীতাই করছেন ইফতেখার।
বল হাতে এবারের বিপিএলে রাজত্ব করছেন অভিজ্ঞরা। ৩৮ বছর বয়সী পাকিস্তানি পেসার ওয়াহাব রিয়াজ যেখানে শীর্ষ উইকেট শিকারী, তারপরেই আছেন ৩৯ বছর বয়সী মাশরাফি। ওয়াহাব রিয়াজ তো তবুও খেলার মাঝেই ছিলেন, বিশ্বব্যাপী ফ্রাঞ্চাইজি লিগে খেলে বেড়াচ্ছেন, কিন্তু মাশরাফি! গত এক বছরে তো তাকে মাঠেই দেখা যায়নি। তবে দু’জনেই প্রমাণ করছেন, দৃঢ় ইচ্ছের সামনে বয়সটা শুধুই সংখ্যা মাত্র।
এবারের বিপিএলে এখন পর্যন্ত ৫ ম্যাচ খেলে সর্বোচ্চ ১১ উইকেট শিকার করেছেন ওয়াহাব রিয়াজ। ইকোনমিটাও আশ্চর্যজনক, মাত্র ৬.৫১! অপরদিকে ৬ ম্যাচে ৯ উইকেট শিকার মাশরাফির, স্ট্রাইকরেট ঈর্ষণীয়, মাত্র ১৫। ইকোনমি ৬.৭৫। বুড়োদের ভিড়ে একমাত্র তরুণ হিসেবে তানভীর ইসলামই জ্বলজ্বল করে। কুমিল্লার এই স্পিনার মাত্র ৪ ম্যাচে শিকার করেন ৮ উইকেট। ৫.৭৫ ইকোনমি আর গড় মাত্র ১১। বলতেই হবে বেশ ভালো।
একনজরে চট্টগ্রাম পর্ব শেষে ব্যাটে-বলে বিপিএলের সেরা যারা
—রান—
সাকিব আল হাসান : ২৭৫ রান
নাসির হোসেন : ২৬৯ রান
ইফতেখার আহমেদ : ২৫৬ রান
উসমান খান : ২০৮ রান
তৌহিদ হৃদয় : ১৯৫
—উইকেট—
ওয়াহাব রিয়াজ : ১১ উইকেট
মাশরাফী বিন মর্তুজা : ৯ উইকেট
তানভির ইসলাম : ৮ উইকেট
নাসির হোসেন : ৭ উইকেট
হাসান মাহমুদ : ৭ উইকেট
Leave a Reply