চীনকে মোকাবেলায় জাপান, যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপকে একযোগে কাজ করতে হবে বলে জানিয়েছেন জাপানি প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদা। বেইজিংয়ের ক্রমবর্ধমান চ্যালেঞ্জের মুখে যুক্তরাষ্ট্রের সাথে সম্পর্ক বৃদ্ধির লক্ষ্যে ওয়াশিংটন সফরকালে এই মন্তব্য করেছেন জাপানি প্রধানমন্ত্রী।
তিনি বলেন, আন্তর্জাতিক ব্যবস্থা সম্পর্কে চীনের ভিশন টোকিও ও ওয়াশিংটনের দৃষ্টিভঙ্গি থেকে ভিন্ন হওয়ায় তাদের কাছে তা ‘কখনো গ্রহণযোগ্য’ হবে না। ফলে জাপান ও যুক্তরাষ্ট্র- উভয়ের জন্যই চীন হলো প্রধান চ্যালেঞ্জ।
জাপানি প্রধানমন্ত্রী শুক্রবার জন্স হপকিন্স স্কুল অব অ্যাডভান্স ইন্টারন্যাশনাল স্টাডিজে বক্তৃতাকালে বলেন, চীনের সাথে আমাদের নিজ নিজ সম্পর্ক ব্যবস্থাপনায় জাপান, যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপকে ঐক্যবদ্ধ হওয়াটা অনিবার্য প্রয়োজন।
তিনি বলেন, ইউক্রেনে রাশিয়ার যুদ্ধ স্নায়ুযুদ্ধ-পরবর্তী বিশ্বব্যবস্থাকে ‘পুরোপুরি শেষ’ করে দিয়েছে এবং মস্কোর শক্তি প্রয়োগকে ‘চ্যালেঞ্জহীনভাবে ছেড়ে দেয়া হলে, তা এশিয়াসহ বিশ্বের অন্যান্য স্থানেও ঘটবে।’
জাপানি প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় এখন ঐতিহাসিক টার্নিং পয়েন্টে রয়েছে। যে অবাধ, উন্মুক্ত ও স্থিতিশীল আন্তর্জাতিক ব্যবস্থা আমরা সমুন্নত রাখার জন্য নিজেদের উৎসর্গ করেছি, তা এখন ভয়াবহ বিপদে রয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘আমরা কখনো শক্তি প্রয়োগের মাধ্যমে স্থিতিবস্থা একতরফাভাবে নস্যাৎ করার কোনো চেষ্টাকে অনুমোদন করব না, আমরা অবশ্যই আমাদের শক্তি বাড়াব।’
কিশিদা পূর্ব চীন সাগরের কাছে বিরোধপূর্ণ এলাকায় চীনের সামরিক কার্যক্রম এবং জাপান সাগরের কাছে পতিত চীনের নিক্ষেপ করা ব্যালাস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র নিয়ে তার উদ্বেগের কথা আবারো তুলে ধরেন।
এদিকে হোয়াইট হাউসে কিশিদার সাথে বৈঠকে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলেন, জাপানের সাথে মিত্রতার ব্যাপারে দৃঢ়ভাবে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ যুক্তরাষ্ট্র। তিনি গত মাসে টোকিওর ‘ঐতিহাসিক’ সামরিক শক্তিবৃদ্ধির ঘোষণাকে স্বাগত জানান।
জাপান গত মাসে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর সবচেয়ে বেশি সামরিক শক্তি বাড়ানোর কথা ঘোষণা করেছেন। দেশটি ২০২৩ সালের জন্য তার প্রতিরক্ষা বাজেট রেকর্ড ৬.৮ ট্রিলিয়ন ইয়েন (৫৫ বিলিয়ন ডলার) করার কথা জানায়। চীন ও উত্তর কোরিয়ার হুমকির মুখে দেশটি এত বিপুল প্রতিরক্ষা ব্যয়ের কথা জানাল।
সূত্র : আলজাজিরা
Leave a Reply