ব্রাজিলের সাবেক প্রেসিডেন্ট জাইর বলসোনারো যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়ায় একটি হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন।
সোমবার হাসপাতাল বেড থেকে ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্টে একটি ছবি পোস্ট করে তিনি জানান দেন যে বর্তমানে তার অবস্থান যুক্তরাষ্ট্রে।
এদিকে নিজ দেশে দাঙ্গা বাধিয়ে যুক্তরাষ্ট্রে এসে আশ্রয় নেওয়ায় ব্রাজিলের সাবেক প্রেসিডেন্ট বলসোনারোকে এখান থেকে বের করে দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন কয়েকজন মার্কিন এমপি। খবর সিএনএনের।
বলসোনারোর স্ত্রী মিশেল বলসোনারোর দাবি, পেটের ব্যথার চিকিৎসা করাতে বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রে আছেন তার স্বামী।
২০১৮ সালে নির্বাচনি প্রচারে গিয়ে তিনি ছুরিকাহত হয়েছিলেন। সেই ব্যথাই নতুন করে ভোগাচ্ছে বলসোনারোকে।
অন্যদিকে ব্রাজিলে বলসোনারোর দেড় হাজার উগ্র সমর্থককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
নির্বাচনে কারচুপির অভিযোগ এনে গত রোববার দক্ষিণ আমেরিকার দেশ ব্রাজিলের পরাজিত প্রেসিডেন্ট প্রার্থী জাইর বলসোনারোর কট্টর সমর্থকরা দেশটির পার্লামেন্ট ভবন, প্রেসিডেন্ট প্রাসাদ এবং সুপ্রিমকোর্টে হামলা চালিয়েছেন।
এ ঘটনায় দাঙ্গাকারীদের শাস্তি দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট লুলা দা সিলভা। তিনি দেশটির সাবেক জাইর বলসোনারোর সমর্থকদের এ কর্মকাণ্ডের পরিত্রাণ ঘোষণা দিয়েছেন।
ক্ষমতার লড়াই ঘিরে রোববার যেন বিক্ষোভের আগুনে বিস্ফোরিত হয় ব্রাজিল। আর এতেই সাবেক প্রেসিডেন্ট বলসোনারোর সমর্থকরা হামলা চালান দেশটির কংগ্রেস, প্রেসিডেন্ট প্যালেস ও সুপ্রিমকোর্টে।
চরম ডানপন্থি এসব সমর্থক রাজধানী ব্রাসিলিয়ায় পুলিশের ব্যারিকেড ভেঙে একের পর এক জায়গায় হামলা চালান। বিরোধী দলের এ হামলার তীব্র সমালোচনা করে একে ‘ফ্যাসিস্ট’ হামলা বলে আখ্যা দিয়েছেন বর্তমান প্রেসিডেন্ট লুলা দা সিলভা।
রোববার ব্রাজিলে হামলার ঘটনা ফের ২০২১ সালের ৬ জানুয়ারি যুক্তরাষ্ট্রের পার্লামেন্ট ভবন ক্যাপিটলে হামলার কথাই মনে করিয়ে দিল।
যুক্তরাষ্ট্রে যেমন ট্রাম্প সমর্থকরা হামলা চালিয়েছিলেন, তেমনই রোববার সাবেক প্রেসিডেন্ট জাইর বলসোনারোর সমর্থকরাও সবুজ-হলুদ পতাকা গায়ে জড়িয়ে বিক্ষোভ শুরু করেন। একপর্যায়ে একে একে কংগ্রেস, সুপ্রিমকোর্ট থেকে শুরু করে প্রেসিডেন্ট প্যালেসে ভাঙচুর চালান তারা।
অবশ্য ঘণ্টার পর ঘণ্টা সংঘর্ষের পর রোববার সন্ধ্যায় রাজধানী ব্রাসিলিয়ার গুরুত্বপূর্ণ এসব ভবনের নিয়ন্ত্রণ ফিরে পায় পুলিশ।
ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট লুলা রোববার বন্যা বিধ্বস্ত আরারাকোয়ারা শহরে পরিদর্শনে গিয়েছিলেন। সেখানে থাকাবস্থায় রাজধানী ব্রাসিলিয়ায় হামলার খবর পান তিনি। এর পর সেখান থেকেই তিনি ডিক্রি জারি করেন।
ব্রাজিলের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি বজায় রাখতে সরকারকে বিশেষ ক্ষমতাও দেওয়া হয়েছে। পরে রাজধানী শহরে পৌঁছে প্রেসিডেন্ট লুলা নিজেই সুপ্রিমকোর্ট ভবনে গিয়ে ক্ষতি পরিদর্শন করেন।
Leave a Reply