ভোলার চরফ্যাশন উপজেলায় বাল্য বিবাহ পড়ানোর অপরাধে কাজি মাওলানা মো. রুহুল আমিন (৫০) কে ৭ মাসের কারাদণ্ড দিয়েছেন ভ্রাম্যমান আদালত। বুধবার রাতে উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) রুহুল আমিনের ভ্রাম্যমাণ আদালত এ দণ্ড দেন। এসময় কনের চাচা জয়নাল আবেদিনকে ২৫ হাজার ও বরের মামা মজিবুল হককে ৩০ হাজার টাকা জরিমানা ও করেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।
জানা যায়, কাজি মাওলানা রুহুল আমিন বুধবার (১১ মার্চ) চর আফজাল ২নং ওয়ার্ড কাদির মাস্টার বাড়িতে বেলা ৩টার সময় ১০ম শ্রেণীর এক ছাত্রীর (১৬) বিয়ে পড়ান। খবর পেয়ে ওই বিয়ে বাড়িতে ইউএনও রুহুল আমিন কয়েকজন পুলিশসহ উপজেলা শিশু ও মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা রমিন্দ্রনাথ বিশ্বাসকে পাঠালে পূর্ব খবর পেয়ে বর, কনে ও তাদের পরিবারের সবাই পালিয়ে যায়। তবে বিয়ের কাজি, বর ও কনের মামা ও চাচাকে আটক করে উপজেলায় নিয়ে আসা হয়।
এদিকে বৃহস্পতিবার উপজেলার দক্ষিণ আইচা থানার চরকচ্ছপিয়া গ্রামের ৫নং ওয়ার্ডে ওই মেয়েকে বাল্য বিবাহ দেওয়ার সময় ৯৯৯ নাম্বারে ফোন দিলে বার্তা পেয়ে দক্ষিণ আইচা থানাপুলিশ ওই কনে ও তার মা এবং মামাকে আটক করে। পরে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের ভ্রাম্যমান আদালতে কনের মামা সালাউদ্দিনকে ১০হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
ভোলা বাল্যবিয়ে ও শিশু নির্যাতন প্রতিরোধ কমিটির সভাপতি এডভোকেট সাহাদাত শাহিনকে ফোন দিলে তিনি জানান, গ্রাম পর্যায়ের জনগণ অসেচতন ও বাল্য বিবাহের কুফল সম্পর্কে না জানা এবং দারিদ্র পরিবারগুলো তাদের মেয়েদেরকে একটু ভালো সম্বোন্ধ পেলেই দ্রুত বিয়ে দিয়ে দেয়।
এছাড়াও সামাজিক নিরাপত্তা যেমন ইভটিজিংসহ নানাভিদ কারণের কথা ভেবে অনেক সচেতন পরিবারও তাদের কন্যা সন্তানদের বিয়ে দিয়ে দেন। আমরা এজন্য বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে প্রচার ও সচেতনতা গড়ে তুলছি।
ইউএনও রুহুল আমিন কাজির কারাদণ্ড ও তিনজনের জরিমানর সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, জাল জন্ম সনদ তৈরীর অপরাধে বর আল আমিন ও বরের পিতা আবুল হাসেম মাঝি এবং কনের পিতা হারুনসহ তার স্ত্রীর বিরূদ্ধে জালিয়াতির মামলা করা হচ্ছে।
Leave a Reply