ইউক্রেনের পুরো এলাকা জুড়ে শুক্রবার স্থানীয় সময় সকাল ৮টায় বিমান হামলার সাইরেন বেজে ওঠে। কিয়েভ শহরেই ৩টি বিস্ফোরণের শব্দ শোনা গিয়েছিল।
এর মধ্যে একটি ভয়েস অফ আমেরিকার প্রতিবেদক আনা চেরনিকোভার বাড়ির কাছে হয়েছে। কিয়েভ থেকে তিনি জানিয়েছেন, বিস্ফোরণটি খুব শক্তিশালী ছিল এবং তার অ্যাপার্টমেন্ট বিল্ডিং কেঁপে উঠেছিল।
ইউক্রেনের এয়ার ফোর্স কমান্ড জানিয়েছে, রাশিয়া ইউক্রেনের গুরুত্বপূর্ণ জ্বালানি অবকাঠামো লক্ষ্য করে ৭০টির বেশি ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করেছে। প্রায় ৬০টি ক্ষেপণাস্ত্র বিমান প্রতিরক্ষা দ্বারা ধ্বংস করা হয়। কেবল কিয়েভের ওপর নিক্ষেপ করা ৪০টির মধ্যে ৩৭টি ক্ষেপণাস্ত্র ইউক্রেনের বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা গুলি করে ভূপতিত করেছে। ১০টি ক্ষেপণাস্ত্র ডিনিপ্রোপেট্রোভস্ক অঞ্চলে আকাশে থাকা অবস্থায়ই ধ্বংস করা হয়েছিল।
মস্কো বলেছে, মূল অবকাঠামোর ওপর হামলা সামরিকভাবে বৈধ। ইউক্রেন বলেছে বেসামরিক দুর্দশা সৃষ্টির উদ্দেশ্যে করা হামলা একটি যুদ্ধাপরাধ।
বৃহস্পতিবার রাশিয়ার সর্বসাম্প্রতিক হামলায়, খেরসনে ২ জন নিহত হয়েছেন। দক্ষিণ ইউক্রেনের এই শহরটি সম্পূর্ণরূপে বিদ্যুতবিহীন অবস্থায় রয়েছে। রাশিয়ার নিয়োজিত কর্মকর্তারা পূর্বাঞ্চলীয় শহর ডনেটস্কে ইউক্রেনের হামলার কথা জানিয়েছেন।
জেনেভায় জাতিসঙ্ঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনার ভলকান টুয়ের্ক মানবাধিকার কাউন্সিলের একটি সভায় বলেন, ইউক্রেনের বিরুদ্ধে রাশিয়ার যুদ্ধ আন্তর্জাতিক মানবাধিকার আইনের লঙ্ঘন।
গত সপ্তাহে ইউক্রেন সফর শেষ করে তুয়ের্ক বলেছেন, ইউক্রেনের ১৮ লাখ মানুষের মানবিক সহায়তার প্রয়োজন এবং রাশিয়ার অতিরিক্ত বিমান হামলা ‘মানবিক পরিস্থিতির আরো গুরুতর অবনতি ঘটাতে পারে এবং আরও মানুষ বাস্তুচ্যুত হতে পারে।’
সূত্র : ভয়েস অফ আমেরিকা
Leave a Reply