খুব বেশি দিন আগের কথা নয়, দক্ষিণ কোরিয়াকে ৫-১ গোলে বিধ্বস্ত করে সেলেসাওরা। তবে এবারের মঞ্চ ভিন্ন। এখন আর কোনো প্রীতি ম্যাচ নয়, এবার বিশ্বকাপের নক আউট পর্বে মুখোমুখি হচ্ছে দু’দল। আর এবার কাতার বিশ্বকাপ হয়ে উঠেছে অঘটনের আসর। তবে সব শঙ্কা কাটিয়ে তিতের দল আধিপত্য ধরে রাখতে পারে কিনা, সেটাই দেখার বিষয়।
মরুর দেশ কাতারের বুকে চলছে শেষ ষোলোর লড়াই। যেখান থেকে পা ভড়কালেই বিদায় নিতে হবে বিশ্বকাপ থেকে। ইতোমধ্যে শেষ ষোলোর বাঁধা পেরিয়ে কোয়ার্টার ফাইনালে পৌঁছে গেছে নেদারল্যান্ডস, আর্জেন্টিনা, ফ্রান্স ও ইংল্যান্ড। আজ একই সমীকরণের ম্যাচে রাত ১টায় নামছে ব্রাজিল। এশিয়ান পরাশক্তি দক্ষিণ কোরিয়ার বিপক্ষে মুখোমুখি হবে দু’দল।
বিশ্ব ফুটবলের সবচেয়ে সফল দল ব্রাজিল। সর্বোচ্চ সংখ্যক বিশ্বকাপে অংশ নেয়া দল তারা, পাঁচবার শিরোপাও জিতেছে সেলেসাওরা। সর্বশেষ ২০ বছর আগে স্বপ্নের শিরোপায় চুমো এঁকেছিল পেলে-রোনালদোর দেশটি। সেবার বিশ্বকাপের সহ-আয়োজক ছিল জাপান-কোরিয়া। আর সেই আসরেই বিশ্বকাপে সেরা সাফল্যের দেখা পায় স্বাগতিক দক্ষিণ কোরিয়া। সেমিফাইনাল খেলে গোটা ফুটবল দুনিয়ারই নজর কেড়েছিল তারা। যা বৈশ্বিক আসরে এখন পর্যন্ত এশিয়ার কোনো দলের সেরা সাফল্য।
১৯৯৮ সালের পর এবার বিশ্বকাপের গ্রুপ পর্বে তেঁতো স্বাদ পায় ব্রাজিল। তাছাড়া বিশ্বকাপে এবারই প্রথম কোনো আমেরিকার দলের কাছে হেরেছে ব্রাজিল। সেই সাথে টানা নয় ম্যাচে অপরাজিত থাকার যাত্রাও থেমে যায় তাদের। কাতার বিশ্বকাপে ব্রাজিলের গোল সংখ্যা তিন ম্যাচে মাত্র ৩টি। শুধু তাই নয়, বিশ্বকাপে টানা পাঁচ ম্যাচে প্রথমার্ধে কোনো গোলের দেখা পায়নি সেলেসাওরা।
বিপরীতে দক্ষিণ কোরিয়াকে খাটো করে দেখার নেই কোনো সুযোগ। গ্রুপ পর্বের শেষ ম্যাচে ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোর পর্তুগালের বিরুদ্ধে জিতে চমকে দিয়েছে তারা। যা দক্ষিণ কোরিয়ার শেষ ১১ বিশ্বকাপ ম্যাচের একমাত্র জয়। এই জয়ে ১২ বছরের মধ্যে প্রথমবারের মতো ১৬ দলের নকআউট পর্ব নিশ্চিত করেছে কোরিয়ানরা। ফলে উজ্জীবিত কোরিয়া এবার ব্রাজিলের জন্যও হুমকির কারণ হয়ে উঠতেই পারে।
দু’দল বিশ্বকাপে এর আগে কখনো মুখোমুখি হয়নি। তবে এখন পর্যন্ত সব মিলিয়ে সাতবার একে অন্যের বিপক্ষে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছে ব্রাজিল ও দক্ষিণ কোরিয়া। যেখানে ব্রাজিল জিতেছে ছয়টি ম্যাচ, এশিয়ান দলটির একমাত্র জয় ১৯৯৯ সালে প্রীতি ম্যাচে।
Leave a Reply