ফ্রান্সের পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষের আইনপ্রণেতারা, গর্ভপাতের অধিকারকে দেশটির সংবিধানে অন্তর্ভুক্ত করতে বৃহস্পতিবার একটি প্রস্তাব গ্রহণ করেছেন। যুক্তরাষ্ট্রে গর্ভপাতের অধিকার আবার প্রতিষ্ঠার জন্য এক দীর্ঘ ও অনিশ্চিত আইনী লড়াই শুরু হওয়ার পর এটি হলো এ বিষয়ে প্রথম পদক্ষেপ।
৫৫৭ সদস্যবিশিষ্ট জাতীয় পরিষদে প্রস্তাবটি ৩৩৭-৩২ ভোটে গৃহীত হয়।
কোনো বিষয় সংবিধানে অন্তর্ভুক্ত করতে হলে, প্রথমে জাতীয় পরিষদ এবং উচ্চকক্ষ বা সিনেটে এর অনুমোদন পেতে হয়। দেশব্যাপী গণভোটে সংখ্যাগরিষ্ঠ সমর্থন পেলে বিষয়টি সংবিধানে অন্তর্ভুক্ত হওয়ার প্রক্রিয়া শেষ হয়।
বামপন্থী জোট থেকে উত্থাপিত প্রস্তাবটির উত্থাপনকারীরা যুক্তি দেখান যে পদক্ষেপটি স্বেচ্ছায় গর্ভপাতের মৌলিক অধিকারটিকে সুরক্ষা দেয়ার ও তা নিশ্চিত করার উদ্দেশে প্রণীত হয়েছে।
১৯৭৫ সালের এক গুরুত্বপূর্ণ আইনের মাধ্যমে ফ্রান্সে গর্ভপাতকে অপরাধের তালিকা থেকে বাদ দেয়া হয়। কিন্তু দেশটির সংবিধানে এমন কিছু নেই, যা কিনা গর্ভপাতের অধিকারকে নিশ্চিত করে।
জাতীয় পরিষদের চরম-বামপন্থী, ফ্রান্স আনবাওড গোষ্ঠীটির প্রধান এবং প্রস্তাবটির সহস্বাক্ষরকারী, মাটিলডা প্যানো বলেন, আমাদের উদ্দেশ্য পরিষ্কার; গর্ভপাতের অধিকারের বিরোধী মানুষদের জন্য আমরা কোনো সুযোগ রাখতে চাই না।
ফ্রান্সের বিচার বিষয়ক মন্ত্রী, এরিক ডুপন্ট-মোরেটি বলেন, মধ্যমপন্থী সরকার এই প্রস্তাবকে সমর্থন করে।
এক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্রের সুপ্রিম কোর্টের জুন মাসের রায়টির কথা উল্লেখ করেন তিনি। ওই রায়টি গর্ভপাতের কেন্দ্রীয় সাংবিধানিক অধিকারটি বাতিল করে এবং এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত অঙ্গরাজ্যগুলোর ওপর ছেড়ে দেয়া হয়।
সাম্প্রতিক এক জরিপে দেখা যায় যে ফ্রান্সের জনসংখ্যার ৮০ শতাংশের বেশি মানুষ গর্ভপাতের অধিকারকে সমর্থন করে। এই ফল, বিগত সময়ে করা জরিপগুলোর সাথেও সঙ্গতিপূর্ণ। ওই একই জরিপে এ-ও দেখা যায় যে নিশ্চিত সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষ অধিকারটিকে সংবিধানে অন্তর্ভুক্ত করার পক্ষে রয়েছে।
সূত্র : ভয়েস অফ আমেরিকা
Leave a Reply