আফগানিস্তানে তালেবান কর্তৃপক্ষ ক্ষমতা দখল নেওয়া পর দেশজুড়ে কঠোর শরিয়া আইন চালু করেছে। ডয়চে ভেলের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দেশটির সুপ্রিম কোর্ট গতকাল বুধবার ১৪ জনকে প্রকাশ্যে চাবুক মারার শাস্তি দিয়েছেন।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ব্যাভিচার, চুরির মতো অভিযোগ ছিল। ১৪ জনের মধ্যে তিনজন নারীও ছিল। দেশটির লোগার অঞ্চলের একটি ফুটবল স্টেডিয়ামে ১৪ জনকে চাবুক মারা হয়। অভিযুক্তদের যখন সেখানে চাবুক মারা হয়, তখন দর্শক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন দেশটির কর্মকর্তা, স্কলার ও সাধারণ মানুষ।
রিপোর্ট, এই শাস্তির মাধ্যমে তালেবান আফগানিস্তানে কঠোরভাবে শরিয়তি আইন রূপায়ণ করতে চাইছে।
কর্মকর্তারা সংবাদসংস্থা এপি-কে জানিয়েছেন, কয়েকশ দর্শক এই সাজা দেখার জন্য স্টেডিয়ামে ছিলেন। আদালতের তরফে জারি করা এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, তালেবানের সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা হাবিবুল্লাহ আখুন্দজাদা বিচারপতিদের সঙ্গে দেখা করে বলেছিলেন, শরিয়া আইন অনুসারে যেন শাস্তি দেওয়া হয়।
লোগারের গভর্নরের অফিস থেকে বলা হয়েছে, তারা সম্মাননীয় স্কলারদের আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন। সেইসঙ্গে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল মুজাহিদিন, বয়স্ক মানুষ, জনজাতি নেতা ও স্থানীয় মানুষদের।
এক সরকারি কর্মকর্তা এপি-কে জানিয়েছেন, চাবুক মারার শাস্তি দেখতে কয়েকশ মানুষ জড়ো হয়েছিলেন। প্রত্যেককে ২১ থেকে ৩৯ বার চাবুক মারা হয়।
Leave a Reply