ভারতের স্বাধীনতা-পরবর্তী প্রথম প্রজন্মের চিন্তাবিদ হিসেবে গায়ত্রী চক্রবর্তী স্পিভাক একটি বিশিষ্ট নাম। ৮০ বছর বয়সে এসেও গায়ত্রী এখনো ভারতের নিম্নবর্গের গণতন্ত্র নিয়ে শুধু তাত্ত্বিক গবেষণাই করেননি, তিনি গ্রামে-গঞ্জে গিয়ে বিভিন্ন সামাজিক, সেবামূলক কাজও করছেন।
এহেন গায়ত্রী চক্রবর্তী স্পিভাক—তাঁর ‘ভারতীয় গণতন্ত্রের রহস্য’ নিয়ে আলোচনায় দুটি মজার গল্প বলেছেন। প্রথম গল্পটি পুরুলিয়ার আর দ্বিতীয় গল্পটি কলম্বিয়ার।
এরপর আসি কলম্বিয়ার গল্পে। কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে গায়ত্রী দেবীর ক্লাসের দর্শনের সেরা ছাত্রটি যেকোনো লেখাকে নিংড়ে তার সারমর্ম জানিয়ে দিতে পারতেন। সেই সর্বশ্রেষ্ঠ অন্যতম সাদা ছেলেটি গায়ত্রী দেবীর লেখা ভারতের গণতন্ত্র সম্পর্কিত রচনাগুলো পড়েন। একদিন গায়ত্রী দেবী তাঁকে বলেন, ‘তুমি যেভাবে আমার অতীতের লেখাগুলো পড়ে অনায়াসেই তার সারমর্ম আমাকে ফিরিয়ে দাও, ঠিক সেভাবেই ভারতীয় গণতন্ত্রটি যদি একটু বোঝাতে পারো। ’ সেই স্থির, বুদ্ধিমান, কোমলপ্রাণ ছেলেটি গায়ত্রী দেবীর অফিসে এসে তাঁর সামনে বসে হাপুস নয়নে কাঁদতে লাগলেন। তখন গায়ত্রী তাঁকে বললেন, ‘বাবা, আমি তোমার মা-ও নই আর সাইকো অ্যানালিস্টও নই। কিন্তু ভারতীয় গণতন্ত্র বুঝতে গিয়ে তুমি যখন কাঁদতে পেরেছ, কোনো দিন হয়তো পারবে নিজেকে ভাসিয়ে দিতে। ’ এটি ছিল গণতন্ত্রের রহস্য নিয়ে আলোচনায় গায়ত্রী চক্রবর্তী স্পিভাকের শেষ গল্প।
সম্প্রতি কলকাতায় ভারতের সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি উদয় উমেশ ললিত ও বাংলাদেশের সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকির সামনে দাঁড়িয়ে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন, ‘বিচারব্যবস্থাকে মানুষের কান্না শুনতে হবে। গণতন্ত্র বিপন্ন। আমরা এ দেশে ক্রমেই যেন একটা রাষ্ট্রপতি শাসনের দিকে এগিয়ে চলেছি। মিডিয়া ট্রায়াল হচ্ছে। দোষী সাব্যস্ত হওয়ার আগেই দোষী চিহ্নিত করা হচ্ছে। তারপর আদালতের রায়, সে এক দীর্ঘসূত্রতা। ’
ভারতীয় গণতন্ত্র, বিশেষত সংবিধান প্রণেতারা যে প্রশাসন, আইনব্যবস্থা ও বিচারব্যবস্থার মধ্যে একটি ভারসাম্যের নীতি প্রতিষ্ঠা করেছিলেন, সেটি কিভাবে বিপন্ন আর কেনই বা বিপন্ন—আসুন, আজ তার তত্ত্ব-তালাশ করি। বিচারব্যবস্থায় পচন ধরছে। একটা সময় ছিল যখন বিপ্লব হতো, গণবিদ্রোহ হতো, শাসকদলকে ক্ষমতাচ্যুত করা হতো, রাষ্ট্রচরিত্রকে বদলানোর চেষ্টা হতো। এখন বহু দশক ধরে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে নির্বাচনী গণতন্ত্র। এটি যে শুধু ভারতেই হয়েছে এমন নয়, পৃথিবীজুড়েই দেখা যাচ্ছে রাষ্ট্রনায়ক—তিনি মানুষের কথা বলছেন, গণতন্ত্রের কথা বলছেন, গরিবের দুঃখের কথা বলছেন, নিম্নবর্গের কথা বলছেন। আর নির্বাচিত মিডিয়ায় সেগুলো ফলাও করে দেখানো হচ্ছে। বাস্তবে কিন্তু গণতন্ত্রের ফসল সাধারণ মানুষের কাছে গিয়ে পৌঁছাচ্ছে না। সামাজিক অসাম্য, অর্থনৈতিক অসাম্য ক্রমেই বাড়ছে। ভারতের মতো এহেন বৌদ্ধবাদী বিশাল অসাম্প্রদায়িক ধর্মনিরপেক্ষ গণতন্ত্রে সেই পচন ধরে, সেটি বড় ভয়ের। তবে শেষের সে দিন হতে পারে ভয়ংকর।
বেশিদিনের পুরনো ঘটনা নয়, মাত্র ২০১৯ সালের ভারতীয় বিচারব্যবস্থার একটি ঘটনা তুলে ধরি। অন্ধ্র প্রদেশে, হায়দরাবাদ থেকে ১৮০ কিলোমিটার দূরে গুডিগন্ডলা (Gudigandla) গ্রামে সাংঘাতিক গণ-অসন্তোষ দেখা যায়। অভিযোগ ওঠে, এক ২৭ বছরের পশু চিকিৎসককে চারজন ব্যক্তি গণধর্ষণ করে হত্যা করেছে। এই চারজনের মধ্যে চিন্তাকুনটা চেন্নাকেশাভালু ছিল অন্যতম। তার সঙ্গে ছিল বাকি তিনজন। এক এনকাউন্টারে পুলিশের গুলিতে এই চারজন নাকি নিহত হয়। ভারতজুড়ে এই সংবেদনশীল মামলা নিয়ে তোলপাড় পড়ে যায়। কোনো প্রমাণ নেই, কোনো সাক্ষী নেই। বিষয়টি আদালত পর্যন্ত গড়ায়। সবাই বলে, তারা চারজনই দোষী।
গ্রামের মানুষ এই চিন্তাকুনটার মা জয়াম্মাকে একঘরে করে দেয়। জয়াম্মা ও তাঁর মেয়ে, তারা সেখানে তাদের নিজেদের বাড়িতে থাকত। সেখানে ধোপা-নাপিত বন্ধ হয়ে যায়। কেননা চেন্নাকেশাভালু নাকি পুরো গ্রামের বদনাম করেছে। গ্রামের লোকেরা মনে করে, তাদের গুলি করে মেরে ফেলাটা নাকি উচিত কাজই হয়েছে। তাদের মেরে ফেলার পর সেই গ্রামে রীতিমতো উল্লাস দেখা যায়। চিন্তাকুনটার মা জয়াম্মা কিন্তু লড়ে যান। সেখানে এক গরিব মায়ের সংগ্রাম দেখা যায়। তিনি আদালতে গিয়ে বলেন, ‘আমার কুড়ি বছরের সন্তান। সে কোনো নেশা করত না। কোনো বদ দোষ তার ছিল না। তার সঙ্গে যে বাকি তিনজন ছিল, তারাও ছিল যথেষ্ট অল্পবয়সী। এই ঘটনা পুরোপুরি সাজানো। এখানে কোনো রকম ধর্ষণের ঘটনা ঘটেনি। কাজেই এগুলো সর্বৈব মিথ্যা। পুলিশ ওদের হত্যা করেছে। ’
এই মামলা চলতে থাকে। শেষ পর্যন্ত সুপ্রিম কোর্টের সাবেক বিচারপতি মদন লোকুর বাধ্য হন এ কথা বলতে যে ক্রিমিনাল জাস্টিস সিস্টেম কোলাপ্স করে গেছে। সবাই মিলে কাউকে অপরাধী বললেই সে অপরাধী হয় না। প্রমাণ ছাড়া আদালত কিভাবে শাসক পুলিশের পক্ষ নিয়ে নিরীহ ২০ বছরের একটি যুবককে দোষী সাব্যস্ত করেন? পরে প্রমাণিত হয়, তারা কেউ দোষী ছিল না। কাজেই বিচারের বাণী নীরবে-নিভৃতে কাঁদে।
প্রথম যে আইনটি মোদি সরকার করে, সেটি হচ্ছে ন্যাশনাল জুডিশিয়াল অ্যাপয়েনমেন্টস কমিশন অ্যাক্ট, যেখানে সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতির নিয়োগ এবং বদলির ক্ষমতা সুপ্রিম কোর্টের হাতে থাকত। প্রশাসন সেটি তার নিজের হাতে নিয়ে নিতে চেয়েছিল। সেটি নিয়েই বিরোধ বাধে। সুপ্রিম কোর্ট এই আইনটিকে খারিজ করে দেন। এ ধরনের সংঘাত খুব অভূতপূর্ব।
বিজেপির এক মন্ত্রী মন্তব্য করেছিলেন, এটি হচ্ছে অনির্বাচিতদের একটি নৈরাজ্যের নমুনা। পরবর্তীকালে দেখা যায়, যে বিরোধটি তৈরি হয়েছিল সেটি নরেন্দ্র মোদি সরকার অনেকটা মিটিয়ে নেয়। চূড়ান্ত জায়গায় বিরোধটি চলে গিয়েছিল, যখন চারজন বিচারপতি সংবাদ সম্মেলন করে বলেন, সরকার এটি অন্যায় করছে। এভাবে বিচারব্যবস্থায় নাক গলানো সরকারের উচিত নয়। এই চারজন বিচারপতির মধ্যে রঞ্জন গগৈও ছিলেন। পরবর্তীকালে তিনি সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি হন। তিনি সরকার দ্বারা মনোনীত রাজ্যসভার সদস্য পর্যন্ত হন। নরেন্দ্র মোদি মুনশিয়ানার সঙ্গে বিচারব্যবস্থার সঙ্গে সংঘাতের এই আবহটিকে পরিবর্তন করেন।
এ তো গেল বিচারব্যবস্থার কথা। আসলে পুরো সমাজেই যে গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানগুলো ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে, ধাক্কা খাচ্ছে। যখন গণতন্ত্র বিঘ্নিত হয়, যখন সাম্প্রদায়িকতার বিষবৃক্ষ থেকে আবার নতুন করে ফল উৎপাদিত হতে শুরু করে, তখন সামাজিক বিশৃঙ্খলা দেখা যায়, হিংসা দেখা যায়। তখন উন্নয়নও ব্যাহত হয়। তখন একটি দেশের বিকাশ ও উন্নয়ন সাংঘাতিকভাবে ব্যাহত হয়ে যায়। এখন একটি নতুন ধরন এসেছে, যেটি হলো নির্বাচিত একটি স্বৈরতন্ত্র। সব সময় বোঝা যায় না যে সেটি কোথায়, কিভাবে ক্ষতি করছে। তাতে সমাজের ক্ষতি হয়। ভারত আজ একটি বড় চ্যালেঞ্জের মুখে।
যদি ইতিহাসের দিকে তাকাই, তাহলে দেখা যাচ্ছে যে ঋগ্বেদের যুগের গোড়ার দিকে প্রাচীন জনগোষ্ঠীগুলো, যেগুলোকে বলা হতো ‘জন’, সেগুলোর অঙ্গ উপগোষ্ঠীগুলোকে বলা হতো ‘বিশ’। এই ‘জন’ ও ‘বিশ’গুলোর গঠন এবং কাজকর্ম ছিল জ্ঞাতিভিত্তিক। বিভিন্ন জনগোষ্ঠীর প্রধানকে বলা হতো রাজা বা রাজন। মর্যাদার দিক থেকে তিনি ছিলেন একজন দলীয় নেতা মাত্র। পরবর্তীকালে কৌমজীবনের ভাঙনের সঙ্গে সঙ্গে জ্ঞাতিভিত্তিক কৌমতন্ত্রের বদলে মিশ্র জনসমাজ অবলম্বনে একটি প্রাথমিক রাষ্ট্রব্যবস্থা গড়ে ওঠে। বৈদিক যুগে, বিশেষ করে পরবর্তী সংহিতা এবং ব্রাহ্মণ গ্রন্থগুলোর যুগে নানা স্থানে রাজতন্ত্রের প্রতিষ্ঠা ঘটলেও সেই রাজক্ষমতার ওপরে জনগণের নিয়ন্ত্রণ ছিল।
বৈদিক সাহিত্যে চার প্রকার জনগণের কথা বলাও হয়েছে। সভা, সমিতি, বিদথ ও পরিষদ। সাধারণ অর্থে সভা বলতে একটি সমাবেশ গৃহ বোঝায়। সভায় আলোচনার ক্ষেত্রে যাঁরা প্রাধান্য অর্জন করতেন, তাঁদের বলা হতো সভাসদ। সভাগৃহে অক্ষক্রীড়াও হতো। পরিচালককে বলা হতো সভাস্থানু। মহীধর বাজসনেয় সংহিতায় ১৭/২০ টীকায় বলেছেন, সভায় নানা ধরনের বিবাদবিসংবাদও মেটানো হতো। গণতন্ত্রের একটি পরীক্ষা-নিরীক্ষা তখন ছিল। কৌটিল্যের অর্থশাস্ত্রে এসব অবশ্য জানা যায় যে কৌটিল্য, তিনি নিজে রাজতন্ত্রের ঘোরতর সমর্থক ছিলেন। রাজতন্ত্রের পাশাপাশি সাধারণতন্ত্রী কৌম জনপদের অস্তিত্ব, সেটি রাজতন্ত্রের আদর্শের জন্য ক্ষতিকর বলেও তিনি মনে করেছেন। সুতরাং কৌটিল্যের অর্থশাস্ত্রের অনেক ভালো দিক থাকলেও গণতন্ত্র সম্পর্কে তাঁর ধারণা ছিল ভিন্ন।
এখন এই জায়গা থেকে আজকের ভারতবর্ষের যে গণতন্ত্র, সেখানে ১৯৪৭ সালে স্বাধীনতার পরে সাংবিধানিক গণতন্ত্রও তাই মস্ত বড় চ্যালেঞ্জের মুখে পড়ে গেছে। ভারতের সংবিধানের যে মৌলিক অধিকার, সেখানে স্বাধীনতা ও আত্মমর্যাদার অধিকার আছে। শোষণের বিরুদ্ধে অধিকার আছে। ধর্মীয় স্বাধীনতার অধিকার আছে। অর্থনৈতিক ও সামাজিক অধিকার আছে। শুধু তা-ই নয়, ডিরেক্টিভ প্রিন্সিপালেও যেটি আইন নয়, সেখানেও বলা হয়েছে, সব রকমভাবে সাম্যকে প্রতিষ্ঠা করতে হবে সমাজে। এর জন্য প্রয়োজন গণতন্ত্রকে প্রতিষ্ঠা করা। এখন এই গণতন্ত্র যদি প্রতিষ্ঠিত না হয়, তাহলে তো উন্নয়নটি ব্যাহত হবে, আমরা সমৃদ্ধির পথে যেতে পারব না।
অমর্ত্য সেন যে বাংলাদেশের উন্নয়ন নিয়ে পর্যালোচনা করেছেন, সেখানে তিনি বলেছেন, দুই ধরনের উন্নয়নের মডেল আছে। একটি মডেল হচ্ছে খুব সংস্কারবাদী মডেল, যেটিকে তিনি নাম দিয়েছেন ‘গ্রোথ মেডিয়েটেড মডেল’, সেখানে আর্থিক বৃদ্ধির মধ্য দিয়ে সমাজের উন্নয়ন, রাষ্ট্রের উন্নয়ন হয়। আরেকটি হচ্ছে ‘ইন্টারভেনশনিস্ট (Interventionist) অথবা ‘সাপোর্ট লেট’ অর্থনীতি, যেখানে খুব বেশি পাবলিক সোশ্যাল স্পেন্ডিং হয়, জনকল্যাণমূলক কার্যকলাপ হয় এবং সেটি শ্রীলঙ্কা থেকে কোস্টারিকা, চীন ও ভারতের কেরল রাজ্যে তো খুব বেশিই হয়েছিল। এগুলো তো অমর্ত্য সেন উদাহরণ দিয়েছেন। আর বাংলাদেশ সম্পর্কে তিনি বলেছেন, এই দুটি চূড়ান্ত মডেলের কোনো একটিকে অনুসরণ না করে বাংলাদেশ এই দুটি মডেলের মাঝখানে গিয়ে গণতন্ত্রকে সুপ্রতিষ্ঠিত করেছে এবং উন্নয়নকেও অনেক বেশি এগিয়ে নিয়ে যেতে পেরেছে। বাংলাদেশ ছোট দেশ হতে পারে। বাংলাদেশের আয়তন যা-ই হোক, বাংলাদেশের অনেক সমস্যা রয়েছে। কিন্তু বাংলাদেশের এই গণতন্ত্রের যে পরীক্ষা-নিরীক্ষা ও উন্নয়নের যে মডেল, তা আজ প্রশংসিত সারা দুনিয়ায়। আশা করব, ভারতও এযাবৎ বৃহত্তম গণতন্ত্রের যে প্রশংসা পেয়ে এসেছে, সেটি বজায় রাখবে। প্রতিবেশী রাষ্ট্র চীন থেকে পাকিস্তান—সবাই গণতন্ত্রহীনতার জন্য যে অভিযুক্ত করে, সেখানে ভারত যেন সে পথে না যায়। অর্থাৎ অঘোষিত রাষ্ট্রপতি শাসন, তা যেন ভারতের ভবিতব্য না হয়। আমরা ইন্দিরা গান্ধীর সময়ের জরুরি অবস্থাকে নিয়ে আলোচনা করি। কিন্তু এ কথাটিও মনে রাখতে হবে, সেই জরুরি অবস্থাকেও কিন্তু মানুষ বর্জন করেছে। বিপুল ভোট দিয়ে আবার ভারত গণতন্ত্রকে প্রতিষ্ঠা করে। সেটি ভারতের মানুষই করে। এখন ভারতের মানুষের প্রাসঙ্গিকতাটি কিভাবে আসবে? এই কসমেটিক নির্বাচনের গণতন্ত্রের সাহায্যে তা আসতে যে বাধাপ্রাপ্ত হচ্ছে, সেখান থেকে উদ্ধারের পথ কী হবে, সেটিই এখন দেখার।
লেখক : নয়াদিল্লিতে কালের কণ্ঠের
Leave a Reply