নারীদের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সময় হল মেন্সট্রুয়েশন সাইকেল বা পিরিয়ড। এই সময়ে মেয়েদের মাঝে অনেক ধরনের লক্ষণ দেখা যায়। নারীরা যেসব সমস্যায় ভোগেন তার মধ্যে সবচেয়ে পরিচিত একটি সমস্যা হলো অনিয়মিত পিরিয়ড। এই সমস্যা আসলে কী? কোনো নারীর মাসিক চক্র তার স্বাভাবিক চক্রের অনেক বেশি আগে বা পরে শুরু হলে তাতে অনিয়মিত পিরিয়ড হিসেবে ধরা হয়।
এটি সাধারণত ঘটে থাকে ভারসাম্যহীন ইস্ট্রোজেনের মাত্রা এবং পেলভিক এরিয়ায় রক্ত প্রবাহের কারণে। এছাড়াও আরও অনেক কারণ আছে যার জন্য পিরিয়ড নিয়মিত হয় না। যেমন- অতিরিক্ত দুশ্চিন্তা করা, ক্যাফেইন জাতীয় খাবার গ্রহণ যেমন অতিরিক্ত কফি পান করা, স্ট্রেস নেয়া, অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে বাস করা, অপরিচ্ছন্ন থাকা, মদ্যপান বা ধূমপান করা ইত্যাদি। অনিয়মিত পিরিয়ডের সমস্যা ঠিক করতে সাহায্য করবে এই খাবারগুলো-
আনারস: মিষ্টি স্বাদের ফল আনারস অনেকের পছন্দের। নিয়মিত আনারস খেলে আমাদের লোহিত রক্তকণিকা এবং শ্বেত রক্তকণিকা বৃদ্ধি পায়। এটি রক্ত প্রবাহ নিয়ন্ত্রণ এবং মাসিকের সময় জরায়ুর আস্তরণের ক্ষরণে সহায়তা করে। পিরিয়ড অনিয়মিত হলে আনারস খেতে পারেন।
অ্যালোভেরা: রূপচর্চায় অ্যালোভেরার ব্যবহার জনপ্রিয়। অ্যালোভেরার জুস পানে অনেক সমস্যা দূর করে। তার মধ্যে একটি হলো অনিয়মিত পিরিয়ড নিয়মিত করা। এটি হরমোনের মাত্রায় ভারসাম্য রাখে যা পিরিয়ড নিয়মিত করতে কাজ করে।
বিটরুট: এই সবজির অনেক উপকারিতা রয়েছে। এটি আয়রন ও ফলিক এসিডে সমৃদ্ধ। এটি পিরিয়ডের সময় ব্যথা কমাতে কাজ করে। সেইসঙ্গে এটি অনিয়মিত পিরিয়ড ঠিক করতেও ভূমিকা রাখে।
আদা: এটি একটি ভেষজ উপাদান। প্রতিদিনের রান্না ও বিভিন্ন ধরনের খাবার তৈরিতে ব্যবহার করা হয় আদা। এতে থাকা ম্যাগনেশিয়াম ও ভিটামিন সি পিরিয়ড নিয়মিত করতে সাহায্য করে। পিরিয়ড চলাকালীন আদা দিয়ে চা কিংবা গরম পানি পান করলেও মিলবে উপকার।
Leave a Reply