বাংলাদেশের ব্যাটিং শেষ হওয়ার কিছু সময় আগে বৃষ্টির কারণে ম্যাচ বন্ধ ছিল। পরে আবার ব্যাট করতে নামে ফারজানারা। ২০ ওভারে ৮ উইকেট হারিয়ে ৭০ রান করে তারা। ফলে পাকিস্তানকে ৭১ রানের স্বল্প টার্গেট দেয়। এখন বিরতি চলছে।
এর আগে সকালে টস হেরে ব্যাট করতে নামে নিগার সুলতানারা। শুরুতেই ৩ উইকেট হারায় তারা। ধারাবাহিক উইকেটের পতন হওয়ায় ১৭তম ওভারে গিয়ে ৫০ পেরিয়ে যায় তারা। পরে বৃষ্টির কারণে খেলা বন্ধ থাকে।
বৃষ্টি শেষ হলে আবারো খেলা শুরু হয়। ৭০ রানে শেষ হয় তাদের ইনিংস।
আজ একটি পরিবর্তন নিয়ে মাঠে নেমেছে বাংলাদেশ। জাহানারার পরিবর্তে খেলছেন লতা মণ্ডল।
এই ম্যাচ দুই দলের জন্যই বেশ গুরুত্বপূর্ণ। দু’দলই এশিয়া কাপে নিজেদের প্রথম ম্যাচে জয় পেয়েছে। ফলে এই ম্যাচে জয়ী দল টুর্নামেন্টে এগিয়ে যাবে। এবারের এশিয়া কাপের স্বাগতিক দল বাংলাদেশ নিজেদের প্রথম ম্যাচে থাইল্যান্ডকে হারিয়েছে ৯ উইকেটে। আর পাকিস্তানও একই ব্যবধানে জয় পেয়েছে মালয়েশিয়ার বিপক্ষে।
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ বাছাইয়ের পর, এশিয়া কাপ মিশনটাও দুর্দান্তভাবে শুরু করেছে বাংলাদেশ নারী ক্রিকেট দল। থাইল্যান্ডের পর এবার টাইগ্রেসদের প্রতিপক্ষ পাকিস্তান। প্রায় তিন বছর ধরে এ দলটির বিপক্ষে না হারায় আত্মবিশ্বাস পাচ্ছে বাংলাদেশ।
সবশেষ গত মার্চে নিউজিল্যান্ডের মাটিতে ওয়ানডে বিশ্বকাপে পাকিস্তানকে ৯ রানের ব্যবধানে হারিয়েছিল বাংলাদেশের মেয়েরা। বিসমাহ মারুফদের বিপক্ষে টাইগ্রেসদের সবশেষ হার ২০১৯ সালের নভেম্বরে দুই ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজে। একই সিরিজে টি-টোয়েন্টিতেও শেষবার পাকিস্তানের মেয়েদের বিপক্ষে হেরেছিল জ্যোতিরা।
এদিকে টি-টোয়েন্টির পরিসংখ্যান অবশ্য বিসমাহদের পক্ষেই কথা বলছে। সবশেষ দেখা যায়, ২০২০ সালের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের প্রস্তুতি ম্যাচে পাকিস্তানকে হারালেও, এ সংস্করণে ১৮ বারের দেখায় ১৫ বারই হেরেছে লাল-সবুজের প্রতিনিধিরা। ২০১৮ সালের টি-টোয়েন্টি এশিয়া কাপে ভারতকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার আগে এই পাকিস্তানকে হারিয়েই ফাইনাল খেলেছিল জাহানারারা।
বাংলাদেশ একাদশ
নিগার সুলতানা (অধিনায়ক), ফারজানা হক, সালমা খাতুন, রুমানা আহমেদ, শামীমা সুলতানা, নাহিদা আক্তার, রিতু মনি, লতা মন্ডল, শোভনা মোস্তারি, সোহেলী আক্তার ও শানজিদা আক্তার।
পাকিস্তান একাদশ
মুনিবা আলী, সিদরা আমীন, বিসমাহ মারুফ (অধিনায়ক), ওমাইমা সোহেল, নিদা দার, আলিয়া রিয়াজ, আয়েশা নাসিম, ডায়ানা বেগ, তুবা হাসান, নাশরা সান্ধু ও সাদিয়া ইকবাল।
Leave a Reply